May 17, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

ভুলেও এই তিন প্রকার মানুষের উপকার করেছেন কি ….

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ভারতীয় পরম্পরায় ‘চাণক্য নীতি’ আসলে একটি অতি প্রাচীন নৈতিক বিধান। এই শ্লোকগুলির সঙ্গে মৌর্য যুগের রাজনীতিবিদ কৌটিল্য বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্যের সত্যিই কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা তর্কসাপেক্ষ। কিন্তু এই নৈতিক কোড-এর প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনও সংশয় নেই ইতিহাসবিদদের। বরং তাঁদের মতে, চাণক্য নীতি আসলে এই দেশের নৈতিক ভাবনার একটা সারাৎসার। এতে যুগে যুগে সংযোজিত হয়েছে নতুন বিধান, হয়তো বিয়োজিতও হয়েছে পুরনো বেশ কিছু ভাবনা। কিন্তু আজ ‘চাণক্য নীতি’ হিসেবে পরিচিত নীতিমালায় যা রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই দেশ-কাল নিরপেক্ষ বলে মনে করা হয়।

‘চাণক্য নীতি’ অনেক সময়েই মিত্র নির্বাচন নিয়ে উপদেশ রেখেছে। সেই সঙ্গে সাবধানও করেছে শত্রু সম্পর্কে। আবার কিছু সম্পর্কের ক্ষেত্রে আগাম চেতাবনি জানায় এই নৈতিক বিধি। এই সূত্র ধরেই তিন প্রকারের মানুষের উপকার করা থেকে বিরত থাকতে বলে ‘চাণক্য নীতি’। দেখা যাক, তারা কারা।
১. অসংবৃত চরিত্রের নারীদের থেকে শত হস্ত দূরে থাকতে বলে চাণক্য নীতি। এদের উপকার করলে সর্বনাশ আসন্ন। কেউ যদি দয়াপরবশ হয়ে এদের সাহায্য করেন, তা হলে এরা প্রতিদানে এমন কিছু করে বসতে পারে যাতে উপকারী মানুষটিরই সম্মান বিপন্ন হতে পারে। এই ধরনের নারীর বিপদের অন্ত তাকে না। একবার তার উপকার করলে সে আরও বিপদকে এনে হাজির করতে পারে। সর্বোপরি, এরা কারোর প্রতি বিশ্বস্ত থাকে না। উপকারীর প্রতিও যে এরা বিশ্বস্ত থাকবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত ‘চাণক্য নীতি’।

২. সর্বদা বিমর্ষ থাকে, এমন ব্যক্তির দুঃখ দূর করার চেষ্টা করা কখনই উচিত নয়। ‘চাণক্য নীতি’-র মতে তাদের বিষণ্নতা কোনওদিনই দূর হবে না। বরং উপকারী ব্যক্তির সময়-মানসিকতা-শ্রম বিনষ্ট হবে। এমন লোকের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করলে এদের বিষাদ অন্যের মধ্যে প্রবেশ করবে। এদেরকেও বাদ রাখতে হবে উপকারের তালিকা থেকে।

৩. কোনও নির্বোধকে জ্ঞানদানের মতো বৃথাকর্ম আর নেই, একথা স্পষ্ট জানায় ‘চাণক্য নীতি’। কারণ, নির্বোধের পক্ষে জ্ঞানের উপলব্ধি কোনও দিনই সম্ভব নয়। বরং তারা তর্ক করে উপকারীর সময়ে ও মানসিকতা নষ্ট করবে। এদের থেকেও দূরে থাকার কথা বলে ‘চাণক্য নীতি’।

Related Posts

Leave a Reply