May 19, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular অন-এ-প্লেট

কোনও দিন দাঁতে পোকা হবে না, যদি …

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

দাঁতে পোকা বা ক্যাভেটিস কেন হয় জানা আছে? খাবার খাওয়ার পর আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাল করে মুখ কুলকুচি করেন ফলে। ফলে দাঁতের ফাঁকে খাবার জমতে শুরু করে। এই সব খাবারগুলিকে দাঁতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ারা পচিয়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড তৈরি করে। সেই অ্যাসিডের কারণে দাঁতের প্রথম স্থর ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, যা এক সময়ে গিয়ে ক্যাভেটিস বা চলতি বাংলায় যাকে দাঁতের পোকা বলে, সেই সমস্যাকে ডেকে আনে।

প্রসঙ্গত, যত বেশি পরিমাণে অ্যাসিড তৈরি হবে, তত তাড়াতাড়ি দাঁতের প্রথম আবরণ ক্ষয় হতে শুরু করবে। আর এক সময়ে গিয়ে আক্রান্ত দাঁতের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না। এক্ষেত্রে আধুনিক চিকিৎসার সাহায্য নিতে পারেন। তবে তার আগে যদি কতগুলি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে দাঁতে পোকা লাগারই ভয় থাকে না।

ওই যে একটা কথা আছে না, “প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিওর”। তাই যদি পোকা লাগার কারণেই সরিয়ে নেওয়া যায়, তাহল তো কেল্লাফতে হতে সময়ই লাগে না। কী তাই না! সেই কারণেই তো এই প্রবন্ধে এমন কতগুলি নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে আজীবন দাঁতে পোকা লাগবে না।

এই নিয়মগুলি সম্পর্কে জানতে চোখ রাখতে হবে বাকি প্রবন্ধে।

. চিনি যত পারবেন কম খাবেন: আসলে শর্করার মাত্রা বেশি রয়েছে এমন খাবার খেলে ক্যাভেটিস হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই তো এমন ধরনের দাঁতের রোগকে দূরে রাখতে যতটা পারবেন চিনি জাতীয় খাবার, বিশেষ করে চকোলেট, ক্যান্ডি প্রভৃতি জিনিল কম খাবেন। আর যদি ভুলবশত এক-দুটো খেয়েও ফেলেন। তাহলে খাওয়ার পর ভাল করে মুখ ধোবেন। না হলে কিন্তু বিপদ!

২. পুষ্টকর খাবার বেশি করে খেতে হবে: সবুজ শাক-সবজি, নারকেল তেল এবং অ্যাভোকাডো বেশি করে খাবেন। এমন ধরনের খাবার খেলে দাঁতে পোকা হওয়ার আশঙ্কা কমে। আর যাদের দাঁত ইতিমধ্যেই ক্যাভেটিসের খপ্পরে পরে গেছে, তাদেরও চিন্তা করার কারণ নেই। একাধিক তকেস স্টাডি করে দেখা গেছে এই খাবারগুলি ক্যাভেটিসের প্রকোপ কমাতেও দারুন কাজে আসে।

৩. ফাইটিক অ্যাসিড রয়েছে এমন খাবার কম খেতে হবে: এই অ্যাসিডটি দাঁতের খুব ক্ষতি করে। তাই যে যে খাবারে এই উপাদানটি রয়েছে, এমন খাবার যতটা পারবেন কম খাবেন। প্রসঙ্গত, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বীজ, বিনস প্রভৃতি খাবারে এই অ্যাসিডটির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।

৪. খনিজ রয়েছে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করুন: আজকাল বাজারে এমন অনেক টুথপেস্ট পাওয়া যায়, যাতে নানা রকমের খনিজ রয়েছে। এমন ধরনের টুথপেস্টই ব্যবহার করা উচিত। আসলে এই খনিজগুলি দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ক্যাভিটিসের সঙ্গে লড়াই করে দাঁতকে অক্ষতও রাখে।

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কীভাবে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন টুথপেস্ট? নিচে আলোচিত উপাদানগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে দিলেই টুথপেস্ট তৈরি হয়ে যাবে। আর এমন পেস্ট যে আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য বেজায় উপকারি, তা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না।

১. ফোটানো জল- ১ চামচ

২. নারকেল তেল- হাফ চামচ

৩. পিপারমেন্টের নির্জাস হাফ চামচ

৪. মিন্টএক চামচের এক চতুর্থাংশ

৫. বেকিং সোডা- এক চামচের এক চতুর্থাংশ

৬. ডায়াটোমেসাস ক্লে ৩ চামচ

Related Posts

Leave a Reply