May 14, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

আপনি পাগল হতে চান না তো? তাহলে আজ থেকেই এই নিয়মটা মেনে চলুন!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

পনি পাগল হতে চান না তো? তাহলে আজ থেকেই এই নিয়মটা মেনে চলুন! আজকাল নানা কারণে মানসিক চাপ এত বাড়ছে যে মস্তিষ্ক কাহিল হতে সময়ই লাগছে না। এমন অবস্থায় ব্রেনের খেয়াল রাখা যদি না হয়, তাহলে বিপদ! এই বিষয়ে ইন্টারনেটের দারস্ত হলেই দেখতে পাবেন গত এক দশকে মানসিক রোগের প্রকোপ কী হারে বৃদ্ধি পয়েছে সারা বিশ্বে। আর এর পিছনে স্ট্রেসকেই দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন প্রশ্ন হল, স্ট্রেস বা মানসিক চাপকে হারিয়ে মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখার উপায় কি?

প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে প্রতিদিন যদি নিয়ম করে হাঁটতে পারেন তাহলে ব্রেনের পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে সুস্থ-সুন্দর জীবনের পথ আরও প্রশস্ত হয়। আসলে হাঁটার সময় আমাদের পায়ে চাপ পরে। তখন পা থেকে এক ধরনের তরঙ্গ তৈরি হয়, যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে রক্তনালীতে জমে থাকা ময়লাগুলি ধুয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ছড়িয়ে পরে। ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমেরিকান সাইকোলজিকাল সোসাইটির প্রকাশ করা এই গবেষণা পত্র অনুসারে, শরীরের যে কোনও অঙ্গকে সচল রাখতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রয়োজন পরে। আর হাঁটার সময় যেহেতু ব্রেনে এমন রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়, তাই মস্তিষ্ক আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এখানেই শেষ নয়, এই গবেষণাটি চলাকালীন বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছিলেন, ধীরে ধীরে হাঁটলে পায়ে যে তরঙ্গ তৈরি হয় তাতেই সারা শরীরে এত পরিমাণ রক্ত চলাচল হয় যে, কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগই পায় না। তাই শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সব সময়ই যে দৌড়াতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। আস্তে হাঁটলেও সমান উপকার পাওয়া যায়। হাঁটার সঙ্গে ব্রেনের সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে কীভাবে? আসলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কতটা হবে তা “সাইকেলিক অ্যারোটিক প্রেসার” এর উপর নির্ভর করে। আর এর সঙ্গে হাঁটার সময় যে স্পন্দন তৈরি হয়, তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই তো চিকিৎসকেরা এখন বলতে শুরু করেছেন, “হার্ট এবং ব্রেনকে সুস্থ রাখতে হাঁটা মাস্ট!”

গত বছর ওপেন সাইন্স নামে এক জার্নালে একদল অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানি জানিয়েছিলেন, কার স্মৃতিশক্তি কত ভাল হবে বা কে কতটা বুদ্ধিমান হবে, তা মস্তিষ্কের সাইজের উপর নির্ভর করে না। বরং কার ব্রেনে কতটা রক্ত চলাচল করে, তার উপর নির্ভর করে ব্রেন পাওয়ার। তাই আপনিও যদি বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান এবং সেই সঙ্গে মানসিক চাপকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দীর্ধদিন সুস্থ জীবন পেতে চান, তাহলে যতটা সম্ভব ব্রেনে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পাঠাতে শুরু করুন। আর এই কাজটি কীভাবে করবেন, তা নিশ্চয় এখন আপনি জেনে গেছেন। তাই না!

Related Posts

Leave a Reply