May 21, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সন্ধ্যা ৭ টার পরে করা এই কাজ মানেই জীবন শেষ !

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ফিস শেষ হওয়া মাত্র বেশিরভাগেরই আমরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচি। আর এই সময় নিজেদের আরাম দিতে এমন কিছু ভুল কাজ করে ফেলি যা ধীরে ধীরে আমাদের শরীরকে একেবারে শেষ করে দেয়। আর এমনটা যে হচ্ছে তা আমরা খেয়ালই করি না। কারণ এই ভুল কাজগুলি এতটাই সাধারণ যে আমরা কেউই এই বিষয়গুলিকে তেমনভাবে ভাবে গুরুত্ব দিতে চান না। এখন নিশ্চয় ভাবছেন কী এমন ভুলের কথা এখানে আলোচনা করা হচ্ছে, যার সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের সরাসরি যোগ রয়েছে? উত্তর পাবেন নিশ্চয়! তবে তার জন্য মাত্র ৫-৭ মিনিট সময় খরচ করতে হবে। কারণ বাকি প্রবন্ধটি পড়ে ফলতে এর থেকে বেশি সময় লাগবে বলে তো মনে হয় না। সেই সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা এবার থেকে ৭ টার ঘরে পৌঁছালেই সাবধান হবেন।

ভুলেও এই সময়ের পর এই প্রবন্ধে আলোচিত কাজগুলি করবেন না। না হলে কিন্তু… কী কী ভুল কাজ সাধারণত আমরা সন্ধ্যা ৭ টার পর করে থাকি? চলুন নজর ফেরানো যাক সেদিকে।

১. অফিস থেকে বাড়ি ফিরে জামা-প্যান্ট চেঞ্জ না করা : আমরা অনেকেই এই কাজটা করে থাকি। কিন্তু জানেন কি এমনটা করলে কী হতে পারে? সারা দিন ধরে লক্ষাধিক জীবাণু আমাদের সারা শরীরে এবং জামা কাপড়ে বাসা বাঁধতে থাকে। তাই তো এই অবস্থায় যদি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরেন বা খাবার খান তাহলে সেই সব জীবাণু বিছানার চাদরে ছড়িয়ে পরে এবং হাত থেকে প্রথমে মুখে তারপর শরীরে অন্দরে চলে যায়। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, বিছানার চাদরে ভিড় করে থাকা জীবাণুরা শুধু আপনাকে নয়, ওই নোংড়া চাদরের সংস্পর্শে যারাই আসবেন, তাদেরই অসুস্থ করে তুলবে। তাই অফিস থেকে ফিরে প্রথমেই জামা-কাপড় ছেড়ে বাড়ির ড্রেস পরবেন। তারপর ভাল করে স্নান করে তবে খাবার কাবেন বা অন্য কাজ শুরু করবেন। এমনটা না করলে কিন্তু শরীরে ক্ষয় আটকানো অপনার পক্ষে সম্ভব হবে না।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খাওয়া : অনেকের মধ্যে এমন অভ্যাস লক্ষ করা যা যে তারা অফিসে থাকাকালীন তো মিনিট মিনেট জল খান। কিন্তু বাড়ি পৌঁছানো মাত্র কী হয় কে জানে, জল খেতে তারা ভুলে যান। পরিবর্তে বেশিরভাগই হয় কোল্ড ড্রিঙ্ক বা মিষ্টি বেশি রয়েছে এমন কোনও সরবত খেয়ে থাকেন। ফলে একদিকে শরীরে জলের ঘাটতি যেমন দেখা দেয়, তেমনি অন্যদিকে দেহে শর্করা এবং ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে নানা ধরনের লাইফ স্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

৩. চায়ের সঙ্গে দেদার চলে ভাজাভুজি খাওয়া : সারা দিন কাজের পর সন্ধ্যা বেলা খিদে পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু বেশিরভাগই এই সময় পেটের জ্বালা মেটাতে এক কাপ চায়ের সঙ্গে হয় সিঙ্গারা, নয় তো অন্য কোনও ভাজা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। এমনটা করার কারণে শরীরে চর্বির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবানাও বৃদ্ধি পায়। তাই সুস্থ থাকতে এবার থেকে চায়ের সঙ্গে ভাজা জাতীয় খাবার না খেয়ে বাদাম খান বেশি করে। তাতে যদি পেট না ভরে ক্ষতি নেই। প্রয়োজনে একটু আগে ডিনার সেরে নেবেন। এমনটা করলে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

৪. অনেকক্ষণ ধরে টিভি দেখা : অফিস থেকে ফিরে সবারই একটু রিল্যাক্স করতে চান। আর সেক্ষেত্রে বেস্ট অপশন হয় টিভি দেখা। তাই না! পরিসংখ্যান তো তাই বলছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ প্রতিদিন অফিস থেকে বাড়ি ফিরে টিভি দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। এমন অভ্যাসে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু বহুক্ষণ ধরে টিভি দেখলে চোখ এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই তো সন্ধ্যার সময় ৩০ মিনিটের বেশি টিভি দেখবেন না। পরিবর্তে কিছুটা সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান বা বই পড়ুন। এমনটা করলে দেখবেন শরীরের তো কোনো ক্ষতি হবেই না, উল্টে স্ট্রেস লেভেল কমবে, সেই সঙ্গে মন, শরীর এবং মস্তিষ্কও শান্ত হয়ে যাবে।

৫. আপনার ডিনারের প্লেটে কী রয়েছে : ডায়েটেশিয়ানরা বলেই থাকেন সুস্থ থাকতে ব্রেকফাস্ট হওয়া উচিত রাজার মতো আর ডিনার করতে হবে ভিখারিরা যেমনভাবে করে তেমন ভাবে। কেন এমনটা বলা হয় জানেন? কারণ সূর্যাস্তের পর আমাদের মেটাবলিক রেট কমে যেতে শুরু করে। ফলে এই সময়ে পর বেশি মাত্রায় খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই রাতের বেলা কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া একেবারেই চলবে না। দুপুরের খাবার হেভি হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু ডিনার হতে হবে হালকা। কিন্তু এই কথাটা কোনও বাঙালিকে বোঝানো কি আদৌ সম্ভব?

৬. শুতে যাওয়ার আগে খেয়াল রাখবেন : বাড়িতে বাগান আছে? না থাকলেও কোনও ক্ষতি নেই। ডিনারের পর হয় বাগানে, নয় তো রাস্তায় ১০-১৫ মিনিট হেঁটে নেবেন। তাহলে দেখবেন অল্প দিনেই আপনার শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমবে। সেই কারণেই তো চিকিৎসক মহল বলে থাকেন, “আফ্টার ডিনার ওয়াক আ মাইল”- আপনিও যদি এই নিয়মটি মেনে চলেন, তাহলে দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!

৭. ঘুমতে যাওয়ার আগে ভুলেও ফোন ব্যবহার করবেন না : ঘুম আসার আগে অনেকেই শেষ বারের জন্য হোয়াটস অ্যাপে ম্য়াসেজ বা ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করে থাকেন। অন্ধকারে ফোন ব্যবহারের এই অভ্যাস আমাদের অন্ধ পর্যন্ত করে দিতে পারে। একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে অন্ধকারে মোবাইলের আলো রেটিনার উপর মারাত্মক চাপ ফেলে। তাই তো এমনটা দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ঘুমনোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর ঠিক মতো ঘুম না হলেও কিন্তু একাধিক রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি যদি না চান এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটুক, তাহলে আজ থেকেই শোয়ার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন। না হলে কিন্তু বিপদ!

৮. তখন ঘুমতে যাবেন : চেষ্টা করবেন ১১-১১:৩০ টার মধ্যে শুয়ে পরার। কারণ আপনাকে সকালে উঠে অফিস ছুটতে হবে। তাই ৭-৮ ঘন্টা ঘুমনোর জন্য ১১ টার মধ্যে শুয়ে পরাটা একান্ত প্রয়োজন। কারণ শরীর সুস্থ রাখতে এই পরিমাণ ঘুম জরুরি।

Related Posts

Leave a Reply