May 23, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ভ্যারিকোস ভেইনকে সারাতে কাঁচা টমেটোর জুড়ি নেই 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
চারিদিকে এখন রোগের ছড়াছড়ি। আমাদের যত বয়স বাড়ে ততই শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানান সমস্যা। বার্ধক্যজনিত সমস্যা তো বটেই, অন্যান্য বহু রোগ আমাদের তখন কাবু করে ফেলে। কেউ কেউ আছেন যারা এসব নিয়ে কিছুই ভাবেন না, ভাবটা যেন রোগভোগকে থোড়াই কেয়ার। আবার অনেকে আছে যারা ভয় পান এই সমস্যাগুলোকে। তাই সুস্থ থাকতে কেউ করেন জিম, কেউ বা ব্যায়াম।
অধিকাংশ মানুষই বয়স বেড়ে যাওয়াকে ভয় পান তাদের শারীরিক এবং মানসিক শক্তি হারিয়ে যাওয়ার কথা ভেবে। আবার অনেকেই ভয় পান মৃত্যুকে। তবে স্বীকার করতেই হবে যে রোগ হওয়ার কোনও বয়স নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই কমবেশী অসুস্থতায় ভোগেন। কখনও তা চিকিৎসাযোগ্য, কখনও বা দুরারোগ্য। তবে, ছোটবড় নানা রোগে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হন শিশু এবং পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। কারণ এদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে।
সদ্যোজাত শিশুদের শরীরে পূর্ণ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকেনা, তাই বেশীরভাগ জীবাণু-সংক্রমন জনিত রোগ বাসা বাঁধে এদের শরীরে। বয়োঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। আবার অন্যদিকে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর, আমাদের শারীরবৃত্তীয় বিপাক ও কোষ-বিভাজনের হার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তলানিতে এসে ঠেকে।
এই কারণেই বিভিন্ন রোগ এই দুই বয়সের মানুষকেই বেশী আক্রমণ করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাড়ের সমস্যা, বাত এইগুলির প্রকোপ বাড়ে। এরকমই একটি সমস্যা হল, ভেরিকোস ভেইন। এই সমস্যা পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়া স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। যদিও পরিসংখ্যান-অনুযায়ী, এই রোগে সবথেকে বেশী আক্রান্ত হন মহিলারাই।
মূলত, শরীরের বিভিন্ন অংশের শিরা ফুলে যাওয়া এবং সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়াই এই রোগের লক্ষণ। অনেক সময়ই এই রোগ ওষুধের দ্বারা নির্মূল করা যায়, যদিও তা সময়স্বাপেক্ষ। এই রোগের পিছনে হাই ব্লাড প্রেশার এবং অতিরিক্ত ওজন দায়ী থাকে। প্রসঙ্গত, ভেরিকোস ভেইনের চিকিৎসা ঠিক সময়ে শুরু না হলে অপারেশন করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তাই ঝুঁকি না নিয়ে কিভাবে বাড়িতে বসে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তারই খোঁজ দেওয়া হল ।
উপাদান: ১. ২ টি মাঝারি সাইজের কাঁচা টমেটো ২. ১ টেবিল চামচ মধু ব্যাস, এই দুই উপাদানই শিরা ফুলে যাওয়ার সমস্যাকে সারিয়ে তুলবে। তবে খুব ভালো ফল পেতে হলে এবং সমস্যাকে চিরবিদায় জানাতে হলে এই পথ্যের সঙ্গে নিজের শারীরিক ওজনও অনেক কমাতে হবে। সবথেকে বড় কথা স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং ব্যায়ামের নিয়মিত অভ্যাস করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এই ধরনের সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াও একান্ত জরুরি। কারণ সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন এগুলির সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে। কাঁচা টমেটোর মধ্যে ‘সোলানাইন’ নামের একটি অ্যাল্কালয়েড থাকায় তা রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না। এছাড়াও কাঁচা টমেটোর পুষ্টিগুণ শিরাকে মজবুত করতে সাহায্য করে। এরফলে শিরা ফুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, কিভাবে কাঁচা টমেটোর সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঘরোয়া ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি: ১. ২ টি কাঁচা টমেটোর ভেতরের অংশ এবং মধু, সামান্য জল দিয়ে ব্লেন্ডারে বেটে নিতে হবে। ব্যাস, তৈরি কাঁচা টমেটোর ম্যাজিক ওষুধ। ২. নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্টের আগে খেতে হবে। ৩. শিরা ফুলে ওঠা জায়গায় কাঁচা টমেটোর খোসা লাগিয়ে রাখলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।

Related Posts

Leave a Reply