May 10, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

অবিশ্বাস্য ! ভিখারি মা কে নিতে ট্রেনভর্তি ছেলেমেয়ে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

রনে শতচ্ছিন্ন মলিন পোশাক। পাশের পলিব্যাগে আরও মলিন জামাকাপড়। বাইরে থেকে মনে হবে ভবঘুরে মহিলাই। অনেকক্ষণ ধরে বৃদ্ধাকে দেখছিলেন বিদ্যা। ভারতের কেরলের থাম্পানুর স্টেশনে এক পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবেন বলে অপেক্ষা করছিলেন তরুণী বিদ্যা।

দেখলেন‚ স্টেশনের ধারে বসে বৃদ্ধা গাছ থেকে ছোট ছোট ফল পেড়ে খাচ্ছেন। কিন্তু পরম মমতায়। যাতে একটা পাতাও না ছেঁড়ে। বিদ্যা তার কাছে গিয়ে জানতে চান‚ তিনি কিছু খাবেন কিনা। উত্তর আসে‚ ‘না’।

তবু বিদ্যা গিয়ে দোকান থেকে ইডলি আর বড়া কিনে এনে বৃদ্ধাকে দেন। নিরাশ্রয় বৃদ্ধার মধ্যে এমন কিছু একটা ছিল যাতে বিদ্যার মনে হয়‚ তিনি সাধারণ ভবঘুরে নন। কৌতূহলবশত জানতে চান বৃদ্ধার পরিচয়।

উত্তর শুনে চমকে যান বিদ্যা। তার সামনে যিনি বসে আছেন সেই ভবঘুরে বৃদ্ধা একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। অঙ্ক শেখাতেন কেরলের মলপ্পুরমের একটি স্কুলে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলায় দুলতে দুলতে তার ছবি তোলেন বিদ্যা। পোস্ট করেন ফেসবুকে। যদি কেউ চিনতে পারেন মলপ্পুরম পাবলিক স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকাকে। কেন যেন বিদ্যার মনে হয়েছিল তিনি উন্মাদ নন।

বিদ্যার ফেসবুক পোস্টের উত্তরে আসে অবিশ্বাস্য সাড়া। দিন কয়েকের মধ্যে ট্রেনভর্তি প্রাক্তনী এসে হাজির থাম্পানুর স্টেশনে। নিয়ে যাবেন তাদের বৎস ম্যামকে। অঙ্ক দিদিমণি কিন্তু কোনও ছাত্র ছাত্রীর সঙ্গে যেতে চাননি। রাজি হয়েছেন বৃদ্ধাশ্রমের প্রস্তাবে। স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যে বৎস ম্যামের পুরনো ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পুরনো শিক্ষিকাকে রেখেছেন সায়াহ্নম বলে একটি বৃদ্ধাবাসে।

প্রাক্তন শিক্ষিকার বোন এবং অন্যান্য পরিজনের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে যাবেন না তিনি। অনুরোধ করেছেন স্বামী ও ছেলের সন্ধান দিতে। ফিরলে একমাত্র তাদের সঙ্গেই ফিরবেন তিনি।

Related Posts

Leave a Reply