May 18, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ঘুম কমে গিয়েছে? জেনে নিন কী কী ক্ষতি হতে পারে

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
তনবাবুর অফিসে প্রচন্ড কাজের চাপ। ইদানিং তা এতটাই বেড়েছে যে কজ শেষ করতে প্রায় ভোর হয়ে যাচ্ছে। এমন কাজের চাপ কি আপনার রুটিনেও? কাজ করতে গিয়ে বারোটা বেজে গেছে ঘুমের? ডাক্তাররা অন্তত এটি ভালো চোখে দেখছেন না। দিনে অন্তত সাত থেকে নয় ঘন্টা না ঘুমোলে তা পর্যাপ্ত ঘুমই নয়। সারাদিন কাজ ও নানারকম চাপের কারণে ছয় ঘন্টার থেকেও কম ঘুম হয় আপনার? এমন হলে ডাক্তারিবিদ্যায় আপনার শরীর কিন্তু সুস্থ নয়।
ঠিক কি কি হতে পারে কম ঘুমের ফলে? জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
ডিপ্রশন ডেকে আনে : কম ঘুমোচ্ছেন অথচ শরীর তো সুস্থই আছে। কিন্তু কাজে সবসময় মন বসছে না। হাজারও আবোলতাবোল কথা বনবন করে পাক খাচ্ছে মাথার মধ্যে। ইচ্ছাশক্তি কমে যাচ্ছে কিছুর প্রতি। এরপরেও বলবেন আপনি সুস্থ? বিশেষজ্ঞরা বলেন কম ঘুম সবচেয়ে আগে প্রভাব ফেলে মনে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে কম ঘুমের ফলে ডিপ্রেশনে ডুবে যেতে পারেন যে কোনও মানুষ।
বয়স বাড়বে ত্বকের : পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বেড়ে যায় ত্বকের বয়স। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটাই সত্যি। ঘুম ঠিকমত না হলে কর্টিসল নামের হরমোনের ক্ষরণ যায় বেড়ে। এটি নষ্ট করে দেয় ত্বকের কোলাজেনকে। এদিকে কোলাজেনের কাজ হল ত্বকের টানটান বাঁধন ধরে রাখা। তাই কোলাজেন গেল তো ত্বকের যৌবনও গেল। শুধু তাই নয়, চোখের নীচে কালি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডার্ক সার্কেল এর সংখ্যাও বেড়ে যাবে।
সেক্সের ইচ্ছা কমবে : একটা সুখী সেক্সুয়াল লাইফ কোন নারী বা পুরুষ চায় না বলুন? এতেও যখন বাধা আসে তখন মনটাই যাই বিগড়ে। কিছু সমীক্ষার ফলাফল দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন কম ঘুমের ফলে শরীরে সেক্স হরমোনের ক্ষরণ কমতে থাকে। শুধু তাই নয় , কমে যায় উত্তেজনা সৃষ্টিকারী হরমোন। এটি কমিয়ে দেয় সেক্স করার ইচ্ছাও। রিল্যাক্স করার সময়ই যদি না মেলে তবে সেক্সের ইচ্ছাই বা আসবে কী করে? ফলে যখন সত্যি সেক্সের প্রয়োজন, তখন আগ্ৰহই মিলবে না কিছুতেই।
হৃদরোগ : ঘুমোচ্ছেন কম অথচ শরীর দেখাচ্ছে ফিট। ভাবছেন এভাবেই ফিট শরীর কেটে যাবে জীবন। কিন্তু শরীরের আসল ব্যাপারটা অন্যরকম যা আপনি হয়তো টেরও পাচ্ছেন না। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কম ঘুম বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের সম্ভাবনা। কম ঘুম হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটায়। দীর্ঘদিন কম সময় ঘুমোলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা তো কম নয়ই বরং হার্ট ফেইলিওরও হতে পারে। এছাড়াও ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস এর মত বিপজ্জনক রোগগুলোও চিরসঙ্গীর মতো আপনার শরীর বাসা বাঁধবে।
ওবেসিটি : লোকে বলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মোটা হচ্ছে। অথচ কম ঘুমোনো সত্ত্বেও আপনি আগের তুলনায় মোটা হয়ে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর জন্য দায়ী পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। পর্যাপ্ত না ঘুমোলে খিদে বেশি পায়, এমনটাও দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। বেশি খাচ্ছেন অথচ কম ঘুমের জন্য বিএমআর রেট সঠিক নয়। ফলে শরীরে জমছে অতিরিক্ত ফ্যাট যা ওবেসিটিতে গিয়ে দাড়াচ্ছে।
 ভুলে যাওয়ার প্রবণতা : মস্তিষ্ককে যেমন চূড়ান্ত খাটিয়ে নেওয়া যায় , তেমনই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বিশ্রামও দরকার। নয়তো সে ধীরে ধীরে হারাতে থাকে বিভিন্ন ভাগের শক্তিগুলো। ঘুম পর্যাপ্ত ন হলে মস্তিষ্কের স্মৃতির অংশটি দুর্বল হতে থাকে যা ভুলিয়ে দিতে থাকে আপনার অতি প্রয়োজনীয় ঘটনা বা কথাগুলোও।
দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ায় :  কম ঘুমের ফলে মস্তিষ্ক ঠিকঠাক নির্দেশ দেওয়া নেওয়া করতে পারে না। ফলে যা করতে চান, তা না হয়ে অন্য একটা ভুল কাজ হয়ে যায়। এই সমস্যা অত্যন্ত বিপদের। যেমন রাস্তায় বেরিয়ে ঠিকঠাক গাড়ি চালাতে গেলেও মস্তিষ্কের ভুলের জন্য হয়ে যেতে পারে বড়সড় ভুল। কম ঘুমিয়ে হয়তো অনেক কাজ সেরে ফেলা যায়। কিন্তু তাতে শরীরের প্রতি অন্যায় করা হয়। শরীর ঠিক না থাকলে কাজগুলোই বা তখন হবে কী করে। তাই সবার আগে নজর দিন নিজের শরীরে।

Related Posts

Leave a Reply