May 16, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

দুরারোগ্য হলেও থামবে ক্যানসার  দরকার এই ভারতীয় ৬ মশলা 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ক্যানসার দূরারোগ্য ব্যধি হলেও ক্যানসার যে সারার নয়, তা মোটেই নয়। আজকাল চিকিৎসাশাস্ত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। ক্যানসার সারানোর জন্য নানারকম চিকিৎসাপদ্ধতি চালু হয়েছে। তবে ক্যানসারের চিকিৎসা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে এই খরচ ভার বহন করা সম্ভব হয় না।
তবে ভারতীয় রসনাতেই এমন বহু মশলার ব্যবহার হয় যা আদতে ক্যানসার প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু এই মশলাগুলি কী তা আমরা অনেকেই জানি না। আর তাই তো, হাতের নাগালে থাকা সত্ত্বেও আমরা এই ক্যানসার বিরোধী এই ওষুধিকে তাচ্ছিল্য করি।
ক্যানসার প্রতিরোধে যে যে মশলাগুলি উপযোগী আসুন তা একঝলকে দেখে নেওয়া যাক।
লঙ্কা : লঙ্কার মধ্যে অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান রয়েছে। লঙ্কার মধ্যে থাকা ক্যাপসাইক অ্যাপেপটোসিসের পদ্ধতিকে উজ্জীবীত করে। যা সম্ভাব্য ক্যানসার কোষকে নষ্ট করে। এবং লিউকোমিয়া ক্যানসার টিউমার কোষের আকার হ্রাস করে।
আদা : আদার মধ্যে ঔষধী গুণাবলী রয়েছে, যা শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কম করে. হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং ক্যানসার কোষকে নষ্ট করে। রান্নার মধ্যে দিয়ে, বা কাঁটা বা রস করে যে কোনও উপায় আপনি আদা খেতে পারেন।
দারুচিনি : ক্যানসারের ঝুঁকি কম করতে প্রত্যেকদিন যদি ১/২ চা চামচ দারচিনি পাউডার রান্নায় মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে উপকার হবেই। দারচিনিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম থাকে। যে কোনও ধরণের টিউমারের বৃদ্ধিকে আটকায় দারুচিনি। নতুন করে ক্যানসার কোষের জন্মও রোধ করে।
মৌরি : মৌরি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। আর সেই কারণেই খাবার পরে মৌরি খাওয়ার চলন আছে। শুধু তাই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট রয়েছে। মৌরি মূত্রনালীর ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
জাফরান : জাফরানের মধ্যে ক্রোসেটিন নামের এক প্রকারের অ্যাসিড থাকে। যা ক্যানসারের প্রাথমিক স্তরে ক্যানসার সারাতে সাহায্য করে। ক্যানসারের ঝুঁকি কম করাই নয়, ক্যানসার টিউমারের আকৃতিরও হ্রাস ঘটনায় এটি। তবে জাফরান ভারতের সবচেয়ে দামি মশলা। তবে জাফরানের কয়েকটা মাত্র সুতোই উপকার দেবে।
হলুদ : ক্যানসার প্রতিরোধে হলুদের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। হলুদে শক্তিশালী পলিফেনল কারকিউমিন রয়েছে যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে। আর তা পরীক্ষাগারে ইতিমধ্যে প্রমাণিত। এই ধরণের কোষের বৃদ্ধিতে মূত্রাশয়ের ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, মস্তিষ্কের টিউমার, অন্ত্রাশয়ের ক্যানসার, লিউকোমিয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।

Related Posts

Leave a Reply