May 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কতক্ষন স্নান করেন? শরীরের ক্ষতি জানলে চমকে উঠবেন !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
মানে, ঠিক বুঝলাম না যে! স্নানের সময় তো আমরা সবাই স্নানই করি, সে সময় আবার অন্য কাজ করে কজন, যে ভুল হবে! আরে মশাই করেন করেন, স্নানের সময় এমন অনেক ভুল কাজ করেন যেগুলিকে আপাত দৃষ্টিতে তেমন ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও বাস্তবে কিন্তু শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই তো এই প্রবন্ধটি সকলেরই পড়া মাস্ট! আর যদি এই বক্তব্যকে হলকা চালে নিয়ে লেখাটি এড়িয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে আপনি নিজের শরীর খারাপ করতেই চান, তাই তো এমন কাজ করছেন। শরীরকে চাঙ্গা এবং সতেজ রাখতে স্নানের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো স্নানের উপকারিতা নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়ে থাকে। কিন্তু স্নানের সময় করা ভুল কাজের বিষয়ে আগে কখনও লেখা হয়েছে বলে তো মনে হয় না। এখন প্রশ্ন হল, এই বিশেষ সময়ে এমন কী কী ভুল কাজ আমরা করে থাকি, যা শরীরের উপর কুপ্রভাব ফেলে? চুলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
গরম জল না ঠান্ডা জল: তাপ প্রবাহ চলাকালীন এই নিয়ে মনে কোনও দ্বন্দ্ব না থাকলেও শীতকালে বেশিরভাগই গরম জলে স্নান করে থাকেন। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে গরম জলে স্নান করা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। এমনটা করলে নানাদিক থেকে শরীরের ক্ষতি হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন, শীতকালে কি তাহলে ঠান্ডা জলেই স্নান করতে হবে? আরে আরে নানা। বরং একবারে ঠান্ডা জলে স্নান না করে হলকা গরম জলে স্নান করুন। এমনটা করলে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ও থাকবে না, তেমনি শরীরের অন্য কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমবে। তবে হলকা গরম জলও মাথায় ঢালা চলবে না। কারণ গরম জলে স্নান করলে চোখ এবং চুলের ক্ষতি হওয়ার অশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
বারে বারে শ্যাম্পু বদল চলবে না: আজ একটা কোম্পানির শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তো কাল অন্য কোনও কোম্পানির। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ নানা কোম্পানির শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে স্কাল্পের আদ্রতা কমে গিয়ে একাধিক চর্ম রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, শুধু শ্যাম্পু নয়, কন্ডিশনারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রেও অল্প সময় অন্তর অন্তর ব্র্যান্ড বদলানো চলবে না। রোদের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে চান?
সাবানে ক্ষতি হয় বেশি: প্রতিদিন গায়ে সাবান মাখলে অথবা বহুক্ষণ ধরে গায়ে সাবান লাগিয়ে রাখলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ এমনটা করলে স্কিনের স্বাভাবিক আদ্রতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে ত্বক রুক্ষ এবং বেজান হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘন ঘন সাবান মাখলে একজিমার মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই যাদের এমন চর্মরোগ আছে, তাদের একটু সাবধানে সাবান ব্যবহার করা উচিত।
গায়ে যেন সাবান না লেগে থাকে: অনেকেই তাড়াহুড়োর মাথায় সাবান মেখে কোনও মতে গায়ে জল ঢেল বেরিয়ে পরেন। ফলে ভাল করে সাবান ধুয়ে যাওয়ার সুযোগই পায় না। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ গায়ে সাবান লেগে থাকলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলকানি প্রভৃতি সমস্যাগুলি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
টাওয়াল দিয়ে জোরে জোরে গা ঘষা চলবে না: স্নানের পর গামছা বা টাওয়াল দিয় ধীরে ধীরে গা মোছার অভ্যাস করুন। কারণ ঘষে ঘষে গা মুছলে ত্বকের উপরিঅংশে থাকা লোম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
বহুক্ষণ ধরে স্নান করবেন না: যতই গরম পরুক না কেন, অনেকক্ষণ ধরে স্নান করা একেবারেই চলবে না। কারণ এমনটা করলে ত্বকের আদ্রতা কমে যাতে শুরু করে। ফলে স্কিন শুষ্ক হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ১০ মিনিটের বেশি স্নান করা চলবে না। এর থেকে বেশি সময় স্নান করলেই কিন্তু বিপদ!

Related Posts

Leave a Reply