May 14, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক সফর

ট্রেকিংয়ে যাচ্ছেন? তার আগে অবশ্যই মাথায় রাখুন এ সব

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

নেট ঘেঁটে হাঁটা দিলেন পাহাড়ি দুর্গম পথে। উদ্দেশ্য ট্রেকিং। অথচ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই। শরীরও বসে আছে কি না জানেন না। এমন হলে কিন্তু যখন–তখন বিপদে পড়তে পারেন৷ অসুস্থ হয়ে পড়াও বিচিত্র নয়৷ কাজেই ট্রেকিংয়ে যেতে চাইলে, যান ভালোমতো প্রস্তুতি নিয়ে৷

কয়েকটি বিষয় একটু ভেবেচিন্তে তবেই চড়াই-উতরাই ভাঙার সিদ্ধান্ত নিন৷ শুধু ট্রেকিংয়ে যাওয়ার আগেই নয়, সেখানো পৌঁছেও মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। যাওয়ার আগে ঠিক কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে জানেন?

‘যেখানে যাচ্ছেন সেখানের ঠাণ্ডা ও পরিবেশ–পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা ধারণা আগে থেকেই রাখতে হবে। সেই অনুযায়ী ঠিক করতে হবে কীরকম পোশাক নেবেন, মালপত্র কম নেওয়ারই চেষ্টা করুন। তবু বেশি হলে কুলি নিতে হবে। ক’দিন ধরে হাঁটতে হবে, রাস্তার পরিস্থিতি, স্থানীয় কোনো সমস্যা থাকলে সে সবও জেনে নিতে হবে রওনা দেওয়ার আগেই। রান্নার সরঞ্জাম নিতে হবে কি না এসবও জানার পরিধির মধ্যে রাখতে হবে।’— জানালেন ট্রেকার মানস রায়৷

এছাড়া সঙ্গী হিসেবে কাদের বেছেছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ ও রকম অচিন প্রান্তরে কখনো খুব মন খারাপ হয়, মেজাজও খারাপ হয়৷ তখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে সমস্যা৷ অতএব সব দিক ভেবে–চিন্তে, শরীর–মন তৈরি করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

শারীরিক প্রস্তুতিঃ

বয়স ৩০–৩৫–এর বেশি হলে বা কোনো রোগ থাকলে ডাক্তার দেখিয়ে চেক আপ করে নিন৷ ঠাণ্ডায় বা উচ্চতায় সমস্যা হবে কি না, হলে কী করতে হবে, সে সব জেনে নিন৷

অ্যানিমিয়া থাকলে বা ওজন খুব বেশি হলে সে সব ঠিক করে নিন৷ না হলে দমের কষ্ট তো হবেই, হাঁটু–কোমরেরও ক্ষতি হবে৷

ডাক্তার গ্রিন সিগন্যাল দিলে ৪–৬ মাস আগে থেকে ভালো জুতো পরে নিয়মিত ৩০–৪০ মিনিট হাঁটুন৷ শরীরের অবস্থা বুঝে স্পিড বাড়ান৷ ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়বে৷

ঘাসের উপর হাঁটুন৷ সম্ভব না হলে ভালো প্যাডিংওলা ট্রেডমিলে হাঁটতে পারেন৷ সিঁড়ি ওঠা–নামা বেশি করবেন না৷ হাঁটুর ক্ষতি হবে৷ একই কারণে ট্রেডমিলে ইনক্লাইন্ড মোডে হাঁটবেন না৷

হাঁটুর উপর চাপ কমাতে কোয়াড্রিসেপ্স পেশীর জোর বাড়াতে হবে৷ কাজেই শুরু করুন আয়রন শু এক্সারসাইজ৷ দিনে ৩ সেট, ১৫টা করে৷ কত ওজন নেবেন বা প্রথমে ওজন ছাড়া করবেন কি না তা ডাক্তারের কাছে জেনে নিন৷ জিমে করলে করুন ট্রেনারের তত্ত্বাবধানে৷ হ্যামস্ট্রিংয়ের জন্য করুন লেগ কার্ল৷ হালকা ওজন দিয়ে৷ কাফ মাস্‌লের জন্য টিপ টো৷ ১০–১৫ বার করে দিনে ৩ বার৷

অ্যাঙ্কল লেংথ ভালো গ্রিপ আছে এমন হাইকিং শু কিনুন৷ মোটামুটি মাসখানেক আগে থেকে বড় মোজার সঙ্গে পড়ে রোজ এক–আধ ঘণ্টা হাঁটাহাটি করুন৷

সিগারেটে দমের ঘাটতি হয়৷ কাজেই এটা দ্রুত ছেড়ে দিন৷

মদ্যপান কমান৷ কারণ অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় বেশি মদ খেলে শরীর গরম হওয়ার অনুভূতি হলেও আসলে ভিতরের তাপ আরও বেশি করে বাইরে বেড়িয়ে গিয়ে বিপদ বাড়ায়৷

হালকা খাবার খাওয়া শুরু করুন৷ কারণ ট্রেকিংয়ে ও রকমই খেতে হবে৷ অভ্যাস না থাকলে তখন মুখে রুচবে না৷ কম খেলে হাঁটার এনার্জি পাবেন না৷ আবার যদি এমন ওষুধপত্র খান যার সঙ্গে খাবারের সম্পর্ক আছে, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে, কোন পরিস্থিতিতে কী করবেন, তা জেনে নিন৷

Related Posts

Leave a Reply