May 14, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

টাকা-পয়সা ও মাইগ্রেন, চিন্তা এবং ক্লক জিন সম্পর্ক গভীর 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
কেট খালি তো চিন্তা মাথায় চাপবেই! কিন্তু গবেষণা বলছে এমন চিন্তা থেকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে মস্তিষ্কের। শুধু তাই নয়, আক্রান্ত হতে পারেন ক্রনিক মাইগ্রেনে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব হাঙ্গেরির একদল গবেষক ২৩৪৯ জল মাইগ্রেন রোগীর উপর একটি পরীক্ষা চালিয়ে জানতে পেরেছেন যাদের শরীরে “ক্লক” নামক একটি জিন রয়েছে, তারা যদি সারাক্ষণ নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তাহলে মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রশ্নটা হল মাইগ্রেন, চিন্তা এবং ক্লক জিন, এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক কোথায়?
গবেষণা বলছে ক্লক জিনের কারণে মাইগ্রেন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যাদের শরীরে এই জিনটি রয়েছে তারা যদি টাকা-পয়সা বা অন্য কোনও কারণে মারাত্মক মানসিক চাপে ভুগতে থাকেন, তাহলে এমন রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধার আশঙ্কা কেয়েক গুণ বেড়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হল, চাকরি করুন কী ব্যবসা, টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা তো থাকবেই। তার উপর কার শরীরে এই ক্লক জিন রয়েছে, আর কার নেই, তা তো আগে থেকে জানা সম্ভব নয়, তাই এমন রোগ থেকে দূরে থাকার উপায় কী? এক্ষেত্রে কতগুলি ঘরোয়া উপাদান দারুন উপাকারে লাগতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে দারুন উপকারে লাগতে পারে। তাই বন্ধুরা মাইগ্রেনকে আটকানোর রাস্তা এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও এই রোগে আক্রান্ত হলে কীভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, তা যদি জানা থাকে, তাহলে মনে হয় অনেকটাই নিশ্চন্তে থাকা সম্ভব। এক্ষেত্রে যে যে উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল…
১. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা ছুমন্তর হতে সময়ই নেয় না। আসলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে উপস্থতি বেশ কিছু কার্য়করি উপাদান এমন ধরনের কষ্ট কমানোর পাশাপাশি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে, প্রেসার কমাতে এবং ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. বরফ: মাইগ্রেনের যন্ত্রণা হলেই একটা কাপড়ে অল্প পরিমাণে বরফের টুকরো নিয়ে কপালে কম করে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। দেখবেন কষ্ট নিমেষে কমে যাবে। আর যদি কপালে বরফ রাখতে ভাল না লাগে, তাহলে ঘারেও রাখতে পারেন। এমনটা করলেও একই উপকার মেলে।
৩. পিপারমেন্ট পাতা: প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান থাকার কারণে মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে পিপারমেন্ট পাতার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। ২০০৮ সালে জার্নাল অব নিউরিসায়েন্সে প্রকাশিক একটি গবেষণা পত্র অনুসারে পিপারমেন্ট পাতা খাওয়ার পাশাপাশি যদি এই প্রকৃতিক উপাদানটির গন্ধ নেওয়া যায়, তাহলে মাইগ্রেনের কারণে হওয়া মাথা যন্ত্রণা কমতে একেবারে সময়ই লাগে না। এক্ষেত্রে পিপারমেন্ট চাও খেতে পারেন। আবার ইচ্ছা হলে পিপারমেন্ট পাতাও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. আদা: ২০১৩ সালে হওয়া একটি গবেষণা অনুসারে ক্রনিক মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে আদার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনপ্লেমেটারি প্রপাটিজ, যা একদিকে যন্ত্রণা কমায়, অন্যদিকে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে পুনরায় মাইগ্রেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। তাই এবার থেকে যখনই মাইগ্রেন অ্যাটাক হবে, সঙ্গে সঙ্গে এক কাপ আদা চা খেয়ে নেবেন, দেখবেন নিমেষে উপকার মিলবে।
৫. আপেল: একেবারে ঠিক শুনেছেন। মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে আপেল দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে আপেল খেলে যেমন কাজে দেয়, তেমনি গ্রিন অ্যাপেলের গন্ধ নিলেও সমান উপকার মেলে।
৬. কফি: এতে উপস্থিত ক্যাফিন শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যে যে কারণে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা হচ্ছে, সেই কারণগুলি একে একে নিমূল হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কষ্ট কমতে থাকে। আর যদি আরও দ্রুত কাজ পেতে চান, তাহলে এক পেয়ালা কফিতে অল্প করে লেবুর রস ফেলে দেবেন। দেখবেন আরও দ্রুত উপকার মিলবে। তবে দিনে দু কাপের বেশ কিন্তু কফি পান কোনও মতেই চলবে না। কারণ বেশি মাত্রায় কফি খেলে উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি।

Related Posts

Leave a Reply