May 25, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

মহৌষধি এই গাছ দেখলেই এলাকা ছেড়ে পালায় বাদর 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

বাদরের দল এই গাছ দেখলে এলাকা ছেড়ে পালায়। আর সেই বানর থেকেই যে জীব ভদ্র হয়ে নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দিচ্ছে তাদের কাছে ব্যাপক উপকারী এই গাছ। সর্দি থেকে, পেটের সমস্যা থেকে হাজারও সমস্যার সমাধান এই গুল্ম জাতীয় গাছ।

আলকুশি একটি ধরণের গুল্ম জাতীয় গাছ। শিম পরিবারের এই উদ্ভিদ। ফল অনেকটা শিমের মতো, ৪ থেকে ৬টি বীজ থাকে। শুকনো ১০০টি বীজের ওজন হচ্ছে ৫৫-৮৫ গ্রাম। এবং বীজগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোম দ্বারা আবৃত থাকে যা সহজেই পৃথক হয়ে যায়।

এগুলো ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রচণ্ড চুলকানি সৃষ্টি করে। বাদরের সঙ্গে এদের সম্পর্ক হলো, যখন আলকুশি ফল পুষ্ট হতে থাকে তখন চুলকানির ভয়ে বাদরের দল ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়, কারণ এর হুল বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। বাদরেরা ফিরে আসে যখন মাটিতে ফল পড়ে যায়। সেগুলো তারা খায় বিশেষ দৈহিক কারণে।

আলকুশী একটি ওষুধী গাছ। এর রয়েছে অনেক গুণ। এ গাছ ব্যবহার করে নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার সুয়োগ রয়েছে।

১) কোন পোকা মাকড়ের কামড়ে বা বিছের দংশনে আলকুশীর বীজের গুড়া লাগালে অনেকাংশ যন্ত্রণা কমে যায়।

২) এর শিকড়ের রস এক চামচ করে একমাস খেলে আমাশয় রোগ সারে। ৩) আলকুশীর পাতার রস ফোঁড়ায় দিলে অচিরেই সেটি ফেটে যায়।

৪) এর বীজ চিনি ও দুধসহ সেদ্ধ করে খেলে বাত রোগের উপশম হয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়, শুক্র বৃদ্ধি গাঢ় হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করে।

৫) এর শিকড়ের রসে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো করে। ৬) আলকুশীর শিকড়ের মণ্ডু মূত্রবর্ধক ও মূত্রযন্ত্রের রোগ নিরাময়ে বেশ উপকার।

৭) এর কাণ্ডের রস চোখের রোগের ক্ষেত্রেও ফলপ্রসূ। ৮) শিকড়ের রস জীবজন্তুর গায়ের ঘায়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সরে যায়।

আলকুশির বৈজ্ঞানিক নাম: মুকুনা পুরিয়েন্স। ইংরেজিতে এর নাম Velvet bean, Cowitch, Cowhage, Kapikachu, Nescafe, Sea bean। এটি ফ্যাবাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ।

বোটানিক্যাল নামের পুরিয়েন্স শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, যার অর্থ চুলকানির অণুভূতি। ফলের খোসা ও পাতায় আছে- সেরাটোনিন, যার কারণে চুলকানির উদ্রেক হয়।

মধ্য আমেরিকায় আলকুশির বীচি আগুনে ভেজে চূর্ণ করা হয় কফির বিকল্প হিসেবে। এ কারণে ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশে এর প্রচলিত নাম হচ্ছে নেস ক্যাফে। গুয়েতেমালায় কেচি সম্প্রদায়ের মানুষ এখনও খাদ্যশস্য হিসেবে এটি আবাদ করে। সবজি হিসেবে রান্না হয়।

Related Posts

Leave a Reply