May 13, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

এই ৭ ভেষজে উচ্চ রক্তচাপ কাবু 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
চ্চ রক্তচাপ একটা বয়সজনিত রোগ। মোটামুটি ৪০ পেরোলেই মহিলা পুরুষ সকলেই রক্তচাপের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এটা একটা মারাত্মক রোগ, রক্তচাপের সমস্যার কারণে ডায়াবেটিস, দৃষ্টিহীনতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি নীরবে মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে রক্তচাপ। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর হয় রক্তচাপের কারণে। তাই আপনি বা আপনার কাছের মানুষ যদি রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন তাহলে এড়িয়ে যাবেন না। চিকিৎসকেরা বলেন, যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ-সংকোচন বা সিস্টোলিক রক্তচাপ উভয় বাহুতে ১৪০ মি.মি অথবা তার উপরে থাকে এবং হৃদ-প্রসারণ বা ডায়াস্টলিক চাপ ৯০ মি.মি অথবা উপরে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ প্রবণতা রয়েছে। অনিয়মিত ডায়েট, স্থূলতা, মানসিক চাপ এবং শরীরচর্চার অভাব – এসবের কারণে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হতে পারে। মানসিক অবসাদের ফলেও উচ্চরক্ত চাপজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ কন্ট্রোলে রাখতে অনেকেই ওষুধ খান নিয়মিত, কিন্তু জানেন কি আয়ুর্বেদের মতে কিছু ভেষজ রয়েছে, যা এই রোগে দারুণ কার্যকরি হতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক এ ব্যাপারে।
১) অশ্বগন্ধা : আমরা জানি যে, স্ট্রেস উচ্চ রক্তচাপের একটা প্রধান কারণ। অশ্বগন্ধা স্ট্রেস দূর করতে দারুণ কাজ করে। অশ্বগন্ধায় রয়েছে অ্যাডাপ্টোজেন নামক উপাদান, যা মনকে শান্ত করে, উদ্বেগ এবং চাপ কমায়। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে অশ্বগন্ধা। ১ গ্লাস হালকা গরম জলে ১ চা চামচ অশ্বগন্ধা গুঁড়ো নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেতে প্রতিদিন এই জল খান। দেখবেন আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) তুলসী : তুলসী রক্তচাপ, ফ্লু, ঠান্ডা লাগা, আর্থ্রাইটিসের মতো শারীরিক সমস্যা দূর করতে পারে। তুলসী পাতায় রয়েছে ইউজেনল নামক উপাদান, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পাবেন বা এর চা বানিয়েও খেতে পারেন।
৩) আমলকি : শীতকালের একটা সুপার ফুড হল আমলকি। এটি রক্তনালীকে প্রশস্ত করে যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় না। দিনের যেকোনও সময়ে আমলকি খাওয়া যেতে পারে। তবে ভালো ফল পেতে সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা গোটা আমলকি চিবিয়ে খেয়ে নিন। যদি বাজারে না পাওয়া যায় তাহলে আমলকির জুস গরম জলে মিশিয়েও খেতে পারেন।
৪) ত্রিফলা : ত্রিফলা অত্যন্ত কার্যকর একটা আয়ুর্বেদিক। এটি গ্যাসের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে। এটি আমলা, বহেড়া এবং হরিতকির মিশ্রণ। ত্রিফলার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২ চা চামচ করে ত্রিফলা গুঁড়ো খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের রোগীদের উপকার হবে।
৫) অর্জুন : অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ উপাদান, যা হাইপার টেনশন নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া এই ভেষজ থেকে ইনোট্রপিক, অ্যান্টি-ইস্কেমিক, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিপ্লেলেটলেট, হাইপোলিপিডেমিক, অ্যান্টিথেরোজেনিক এবং অ্যান্টি হাইপারট্রফিক উপাদান মেলে। অর্জুন গাছের ছালের গুঁড়ো পাওয়া যায়। সকালে খালি পেলে জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান। ফল পাবেন।
৬) থানকুনি পাতা : আর্য়ুবেদ শাস্ত্রে থানকুনি পাতার প্রচুর গুণাগুণ বলা আছে। অনেক ওষুধও তৈরিতে এই পাতার রস ব্যবহার করা হয়। অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতা নিয়মিত খেতে পারলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৭) জোয়ান : খাবারের পর অনেকেই একটু জোয়ান মুখে দেন। আজোয়ানের গুণাগুণ অনেক। এটি স্ট্রেস হরমোনগুলির উৎপাদন ও কার্যকারিতায় বাধা দেয়, যার ফলে রক্তচাপ বাড়ে না। হজমেও সাহায্য করে জোয়ান।

Related Posts

Leave a Reply