May 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

চলন্ত যানবাহনে ঘুমিয়ে পড়েন? ডাক্তার দেখান অবশ্যই 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
লন্ত বাস ছুটে চলেছে। দাঁড়ানোর মতোও জায়গা নেই ভেতরে। মানুষের হট্টগোল, হেলপারের ভাড়া চাওয়া, শিশুর কান্না চলছে। এরই মধ্যে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে আপনার পাশের সিটে থাকা মানুষটি।– এমন দৃশ্য আমাদের প্রায় সবারই দেখা। প্রচণ্ড হইহট্টগোলে যেখানে দু’চোখের পাতা এক করার জো নেই, সেখানেও ঘুমিয়ে পড়েন এক শ্রেণির মানুষ। হয়তো কখনো আপনিও কাজটি করেছেন।
চলন্ত যানবাহনে কেন ঘুমিয়ে পড়ে মানুষ? এর পেছনে কি ক্লান্তি জড়িয়ে? নাকি যানবাহনে উঠলেই ঘুমিয়ে নেওয়ার কারসাজি আদতে স্নায়ুরই? এই প্রতিবেদনে জানুন বিস্তারিত-
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমিয়ে পড়ার নেপথ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের থ্যালামাস-হাইপোথ্যালামাস অংশের ভূমিকা। শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলেই হাই ওঠে, পেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘুমের প্রয়োজন হয়। আবার অনেকের মধ্যেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমিয়ে পড়ার স্বভাব আছে। আধুনিক জীবনযাত্রায় অনিদ্রা বা ‘ইনসমনিয়া’ যেমন দুশ্চিন্তার কারণ, তেমনই অতিরিক্ত ঘুম বা ‘সমলোলেন্স’-ও উদ্বেগের বিষয়।
ক্লান্তি থাকুক বা না থাকুক, অনেকেই যেখানে-সেখানে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন সহজে। এক্ষেত্রে গাড়ির দুলুনি বা গতি শরীরকে আরাম দেয়। সামান্য আরাম পেলেই তাদের স্নায়ুগুলি তাতে সাড়া দেয়। এতে ‘হাইপক্সিয়া’ বা ঘুমের উদ্রেক হয়। মস্তিষ্কের কোষে অক্সিজেনের অভাবে ক্লান্তিজনিত যে ঘুম আসে আর আরামজনিত কারণে আমাদের যে ঘুম পায়, তা একে অপরের পরিপূরক।
ঘুমের অস্বাভাবিকতা বুঝতে হলে, ঘুম ও শারীরবৃত্তীয় কাজের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে হবে। মানুষের শারীরবৃত্তীয় কাজের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ঘুম। এটি শরীরের নানা দিকের ভারসাম্য রক্ষা করে। পাশাপাশি মানুষের সারা দিনের কাজকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
চিকিৎসকদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক ঘুমের ব্যাপ্তি হওয়া উচিত ৬-৮ ঘণ্টা। এর মধ্যে প্রতি ৭০-৯০ মিনিট মানুষ ঘুমচক্রের দু’টি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যায়। ১. নন র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট (এনআরইএম) ২. র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট (আরইএম)
৬-৮ ঘণ্টার ঘুমে প্রায় চার-পাঁচটি ঘুমচক্র চলে। এর মধ্যে প্রথম দিকের এনআরইএনে হালকা ঘুমের পরেই গাঢ় ঘুম আসে। তারপরেই আসে আরও গভীর ঘুমের আরইএন। এরপর ফের আসে এনআরইএন, আর তারপর আসে আরইএন। এভাবেই চলতে থাকে ঘুমন্ত মানুষের চক্রটি। কিন্তু ঘুমের মধ্যে তা বোঝা সম্ভব হয় না।
অধিকাংশ সময়েই দেখা যায়, এই স্লিপিং সাইকেল ঠিকমতো গঠিত হয় না। থেকে যায় ঘুমের ঘাটতি। যেহেতু এই বিষয়টি সহজে বোঝা যায় না, তাই অনেকসময় মনে হয়, এই তো ঘুমিয়ে উঠলাম, ফের ঘুম পাচ্ছে কেন! এরসঙ্গে ট্রেনের দুলুনি, বাস বা অন্য যানবাহনের গতি শরীরে আরাম এনে দেয়। তাই ঘুমিয়ে পড়ে মানুষ।
শারীরিক ক্লান্তির ওপর ঘুম নির্ভর করে। যানবাহনে চড়লেই যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তবে রাতের ঘুমে মন দিন। স্ট্রেস ফ্রি থাকতে চেষ্টা করুন। আর ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের পরও যদি দীর্ঘদিন এই অভ্যাস থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Related Posts

Leave a Reply