রান্নাঘরের এই ৫ ‘বিষাক্ত’ খাবারই মৃত্যুর জন্য যথেষ্ঠ
আসুন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে এবার সেই সব খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেগুলির মধ্যে থাকা বিষাক্ত উপাদানের কথা আমরা হয়তো জানি না-
আপেল : কথায় বলে, যদি প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া যায়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু আপেলের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামের বিষ রয়েছে। আমরা সাধারণত আপেলের বীজ খাই না। কিন্তু আপেলের বীজ যদি কোনও কারণে পেটে চলে যায় তাহলে বিপদ হতে পারে। তাই আপেলের জুস তৈরির সময় আপেলের বীজ যেন না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
কাজুবাদাম : মিষ্টি কাজুবাদাম ও তিতা কাজুবাদাম, এই দুই ধরণের কাজুবাদাম পাওয়া যায়। তুলনামূলক ভাবে তিতা কাজুবাদামে প্রচুর হাইড্রোজেন সায়ানাইড থাকে। সাত থেকে দশটা তিতা কাজু বাদাম কাঁচা খেলে প্রাপ্তবয়ষ্কদেরও সমস্যা হতে পারে এবং ছোটদের ক্ষেত্রে তা প্রাণনাশক হতে পারে। নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ এই তিতা কাঁচা কাজু বাদাম বিক্রি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছ।
আলু : এমনিতে আলু খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু আলুর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে। বাড়িতে অনেক দিন পর্যন্ত আলু রেখে দিলে এর মধ্যে গ্যাঁজ অঙ্কুর হয়ে যায়। এই গ্যাঁজ বা অঙ্কুরে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা আলোর সংস্পর্শে বৃদ্ধি পায়। এই জন্য আলু সব সময় ঠাণ্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হয়। সবুজাভ ও গ্যাঁজ হওয়া আলু খেলে ডায়রিয়া, মাথাব্যাথাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টমেটো : আলুর মতোই টমেটোর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। কাঁচা সবুজ টমেটোতেও এই একই উপাদান রয়েছে। তবে অল্প পরিমাণে খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার ভয় নেই।
কাঁচা মধু: কাঁচা মধুতে গ্রায়ানক্সিন থাকে। তাই এক টেবিল চামচ কাঁচা মধু খেলে মাথাঘোরা, দুর্বল লাগা, অত্যধিক ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়ার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
শিম এর বীজ : শিম এর বীজে ফাইটোহিমাটোগ্লুটানিন নামক বিষ থাকে যা আপনাকে মারাত্মক অসুস্থ্য করে দিতে পারে। তাই শিম রান্নার আগে অন্তত ১০ মিনিট সিদ্ধ করে তারপর রান্না করতে হবে।