November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

দেহের টক্সিন বের করতে মুখে পুরুন দু-একটা ….

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

কারে বেজায় ছোট। কিন্তু প্রাকৃতিক শক্তির দিক থেকে যদি বিচার করেন, তাহলে বলতেই হয় লবঙ্গের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু আধুনিক গবেষণাতেও এই কথাটি প্রমাণিত হযে গেছে। শুধু তাই নয়, একথাও প্রমাণিত হয়েছে যে নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদানটি খাওয়া শুরু করলে ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকতেও বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। মেলে আরও অনেক উপকার।

আসলে “দা হেলদিয়েস্ট ফুড” এর তকমা পাওয়া লবঙ্গের শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরে কাজে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, ভিতর থেকে শরীরকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে একাধিক রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। যেমন ধরুন…

১. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো সংক্রমণের থেকে দূরে থাকতে অনেকেই নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে থাকেন। একই কাজ আপনিও কিন্তু করতে পারেন, যদি ইনফেকশনের থেকে দূরে থাকতে চান তো!

২. আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমায়: লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এই ধরনের হাড়ের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ লবঙ্গ চা বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ঠান্ডা চা ব্যথা জায়গায় কম করে ২০ মিনিট লাগালে দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে কমে গেছে। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট পেন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. দাঁতের ব্যাথা নিমেষে কমে: লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে দাঁতে অস্বস্তি বা মাড়ি ফোলার মতো ঘটনা ঘটলে কয়েকটা লবঙ্গ চা খেয়ে নেবেন। দেখবেন উপকার পাবেন।

৪. জ্বরের প্রকোপ কমায়: লবঙ্গে থাকা ভিটামিন কে এবং ই, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসেরা সব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

৫. ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে: এবার থেকে কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণ হলেই চোখ বুজে ক্ষতস্থানে লবঙ্গের রস বা এই প্রকৃতিক উপাদানটি দিয়ে বানানো চা লাগাতে ভুলবেন না। এমনটা করলে দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারে সময়ই লাগবে না। আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণজনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

৬. সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমায়: মাঝে মধ্য়েই কি সাইনাসের আক্রমণ সহ্য করতে হয়? তাহলে তো বলতে হয় এই প্রবন্ধটি আপনার জন্যই লেখা। কারণ লবঙ্গ যে এই ধরনের সমস্যা দূর করতে কাজে আসতে পারে, সে বিষয়ে কি জানা ছিল? আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে উপস্থিত ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা আজও এই ধরনের অসুখের চিকিৎসায় লবঙ্গের উপরই ভরসা করে থাকেন।

৭. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: লাঞ্চ বা ডিনারের আগে লবঙ্গ দিয়ে বানানো এক কাপ গরম গরম চা খেলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেটের দিকে রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটে। ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই যাদের কম ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও বদ-হজম হয়, তারা লবঙ্গ চা পান করে একবার দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবে, তা হলফ করে বলতে পারি।

৮. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিয়মিত যদি অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে রোজ লবঙ্গ খেতেও ভুলবেন না যেন!

Related Posts

Leave a Reply