বদহজম গায়েব চাল দিয়ে বানানো এক কাপ চায়ে!
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবধি সিংহভাগ বাঙালিরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে পেটের অসুখ। আর পেটের এই ধরণের অসুখের মূলেই থাকে বদহজম। যদিও বদহজম খুব বড় সমস্যা নয়; তবুও কিছুক্ষণের জন্য হোলেও শরীরের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যেমন, গা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা এগুলি যেমন সাধারণ ওষুধে কমে যায়, তেমনি পেটের সমস্যাও দূর করা যায়। কিন্তু ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে এমন ছোটখাটো রোগগুলিও মারাত্মক আকার নিতে পারে। বদহজমের ক্ষেত্রে আমাদের যে কোনও খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়। এর ফলে আমরা পেটে ব্যাথা সহ আরও নানা সমস্যার দ্বারা আক্রান্ত হই।
যদিও বদ হজম হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও কারণকে দায়ী করা যায় না। অসময়ে খাওয়া, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা, বেশী পরিমাণে তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রভৃতি কারণে এমন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। একইসঙ্গে হরমোনের সমস্যা, পেটে ঘা অথবা আলসার, কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এমনকি দুশ্চিন্তার থেকেও বদহজম হতে পারে।
প্রসঙ্গত, বদহজমের নির্দিষ্ট কোনও একটি উপসর্গ থাকে না। বদহজমের ফলে অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়। যেমন- অম্বল, অতিরিক্ত বায়ুত্যাগ, অতিরিক্ত ঢেঁকুর, বুক জ্বালা, পেটে ব্যাথা, আমাশয়, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া ইত্যাদি। দেখা গেছে যে, যে সমস্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে পেটে ঘা এবং কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অধিক মাত্রায় থাকে। তাই সময় থাকতেই বদহজমের চিকিৎসা করান। প্রসঙ্গত, ঘরোয়া পদ্ধতিতেও বদহজমের সমস্যাকে কাবু করা সম্ভব। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে বদহজমের সমস্যাকে নির্মূল করবেন, তারই হদিশ দিতে চলেছে বোল্ডস্কাই বাংলা।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন, দেখে নেওয়া যাক কি কি উপাদান লাগবে এই ঘরোয়া ওষুধটি বানাতে।
১.চাল- ১ কাপ
২. জল- ৩ কাপ
৩. মধু- ১ টেবিল চামচ
এই উপাদানগুলি প্রত্যেকদিন ব্যবহার করলে বদহজমের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়। তবে শুধুমাত্র ঘরোয়া টোটকা খেলে চলবে না। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রাকেও বদলাতে হবে। সময়মতো খাওয়া ঠিক পরিমাণে খাওয়া, ফাস্টফুড বর্জন করা, ব্যায়াম করা, দুশ্চিন্তা দূর করা- এগুলির মাধ্যমে বদহজম সহ অন্যান্য বহু সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এই নিয়মগুলি ঠিকমতো মেনে না চললে কোনও ঘরোয়া টোটকাই কাজে আসবে না। যে ঘরোয়া ওষুধটির বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, তা হল আদতে চালের সাহায্যে তৈরি এক ধরনের চা।
আসলে এই চায়ে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন পেট সম্পর্কিত নানা সমস্যাকে রোধ করতে পারে। সবথেকে বড় কথা, এটি পেটের ভেতর অ্যাসিড তৈরি হতে দেয় না। ফলে বদহজম হওয়ারও আশঙ্কাও থাকে না। এছাড়াও এই চা পাকস্থলির জন্য খুবই ভালো। এটি বদহজম হওয়ার প্রাথমিক উপসর্গ অর্থাৎ, বুক জ্বালা এবং অম্বল ইত্যাদি সমস্যাকে নির্মূল করে।
কিভাবে তৈরি করবেন চালের চা?
১. পরিমাণ মতো চাল নিয়ে জলের মধ্যে দিয়ে দিন।
২. এবার ফোটাতে হবে জলটা।
৩. ভাতটা সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ছেঁকে নিন।
৪. জল এবার একটি গ্লাসের মধ্যে ঢালুন।
৫. আপনার চা তৈরি।
৬. ইচ্ছা হলে এর মধ্যে এক চামচ মধুও মেশাতে পারেন।
৭. প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর এই চা খেলে দারুন উপকার পাবেন।