আপেল সিডার ভিনিগার যখন মহৌষধি
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
যতই আমাদের ব্যস্ততা বাড়ছে, ততই যেন আমরা সুস্থ থাকার চাবিকাঠি খুঁজতে উতলা হয়ে উঠছি। দৈনন্দিন কাজের চাপে হোক বা মানসিক চাপে, আমরা প্রত্যেকেই চাই কম সময়ে এবং কম খাটনিতে শরীরকে ভালো রাখতে। তাই নানারকম বাজারচলতি উপাদানের ওপর খুব সহজেই ভরসা করে ফেলি। সেরকম প্রচুর উপাদানও দোকান বাজারে এখন পাওয়া যায়। যেমন- আপেল সিডার ভিনিগার। তবে মুশকিল হচ্ছে নাম বা গুণ না জেনেই আমরা আপেল সিডার ভিনিগার কিনে নিই। অনেকে এর গুণাগুণ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না জেনেই ব্যবহার করতেও শুরু করে দেন, যা একপ্রকার ক্ষতিই করে আমদের শরীরের। আপেল সিডার ভিনিগার মূলত খাবার হজম করতে এবং শরীরে জমা হওয়া বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু আমরা ক’জন জানি যে, আপেল সিডার ভিনিগার কখনোই সরাসরি খাওয়া উচিত না। সবসময়ই তা জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া উচিত। আপেল সিডার ভিনিগারের এরকমই নানা অজানা তথ্য নিয়ে বোল্ডস্কাই হাজির আপনাদের কাছে।
আপেলের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ: আপেল সিডার ভিনিগারের নাম শুনলে তো বোঝাই যায় যে এর মূল উপাদান হল আপেল। আপেলকে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে আপেল সিডার ভিনিগারে রূপান্তরিত করা হয়। আপেলে যেহেতু ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আইরন, ফসফরাস ছাড়াও আরও নানারকমের পুষ্টিকর উপাদান উপস্থিত থাকে, তাই আপেল সিডার ভিনিগারেও এই উপাদানগুলির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
আপেল সিডার ভিনিগার শ্লেষ্মা এবং ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে: বিশেষ এই ভিনিগারটি শ্লেষ্মা এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে কিডনি এবং লিভারকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খেয়েছেন? ঘরোয়া টোটকাতেই দূর হবে পোড়া দাগ, কমবে জ্বালাও! শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়: আমরা সারাদিন ধরে যা খাই বা পান করি, তা যে শুধুই শরীরের ভালোই করে, এমন নয় কিন্তু। খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করা একাধিক পদার্থ শরীরের ক্ষতিও করে থাকে। আপেল সিডার ভিনিগার পান করলে এইসব ক্ষতিকারক পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। লবঙ্গের এই টোটকায় দূর হবে জীবনের সকল সমস্যা, পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে! অর্গানিক আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করুন: বাজারে অনেক ধরনের, অনেক কোম্পানির আপেল সিডার ভিনিগার পাওয়া যায়। তবে সবথেকে ভালো হল অর্গানিক আপেল সিডার ভিনিগার। এটি শরীরের যত্নে নির্দ্বিধায় ব্যবহার করা যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন পদ্ধতিতে আপেল সিডার ভিনিগার পান করা যায়।
পদ্ধতি : ১ জল- ২৫০ মিলিলিটার আপেল সিডার ভিনিগার- ২ টেবিল চামচ ব্যস এবার প্রতিদিন দুবার করে পান করলেই ম্যাজিক।
পদ্ধতি-২ আপেল সিডার ভিনিগার- ২ টেবিল চামচ মধু- ১ টেবিল চামচ গরম জল- এক কাপ প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণটি পান করতে হবে। তবে, অনেকেই আছেন, যারা আপেল সিডার ভিনিগারের স্বাদ ভালবাসেন না। তাঁরা প্রয়োজনে আঙুরের রসের সঙ্গেও আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে, প্রতিদিন ২ টেবিল চামচের থেকে বেশী আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করা কখনোই উচিত না। জুসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে কি? অবশ্যই! একান্তই যদি ভিনিগারের স্বাদ ভাল না লাগে, তাহলে আপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে এক চামচ আঙুরের রস মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কখনই ২ চামচের বেশি আপেল সিডার ভিনিগার খাবেন না দিনে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: আপেল সিডার ভিনিগারের সঠিক পরিমাণ এবং পদ্ধতিতে ব্যবহার না জানলে আমাদের শরীরে নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হত এপারে। যেমন- পেটের রোগ, অ্যাসিডিটি প্রভৃতি। এছাড়াও দাঁতেরও ক্ষতি হয় আপেল সিডার ভিনিগার অতিরিক্ত ব্যবহার করলে। তাই আপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।