অবাক হবেন! ধূমপানের চেয়েও বেশি ক্ষতিকারক ডিম!
কলকাতা টাইমস :
অন্যান্য সব খাবারের সঙ্গে যদি থাকে ডিম তাহলে সবার চোখ আটকে থাকে ডিমের দিকেই। বিশেষ করে ডিম সিদ্ধ প্রত্যেকেরই প্রিয়। ছোটবেলা থেকেই শুনেছি, রোজ একটি করে ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল। কিন্তু এবার ডিম নিয়ে ভয়ের কথাই শোনালেন গবেষকরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ডিম নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।ওই গবেষকরা জানিয়েছেন, ডিম খাওয়ার ভাল ও খারাপ দিক সম্পর্কে।
জানা গেছে, প্রায় ৩০,০০০ নারী-পুরুষের ওপর ওই গবেষণাটি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিদের হৃদরোগজনিত সমস্যা ছিল। তাদের রোগমুক্তিতে গবেষকরা দীর্ঘ মেয়াদে বিশ্লেষণ করেন।
সম্প্রতি সায়েন্স জার্নাল জেএএমএ-তে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে
নর্থ-ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফিনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিনের ভিক্টর ডব্লু ঝংয়ের নেতৃত্বে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।
ওই গবেষণা থেকে জানা গেছে, দিনে একটি ডিমের অর্ধেক অংশ খেলেও হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে ডক্টর ঝং বলেন, ডিমের গ্রহণের পরিমাণ যত বেশি হবে ঝুঁকিও তত বেশি।
তিনি বলেন, যারা সপ্তাহে একটিরও কম ডিম গ্রহণ করেন তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে না।
ডিম নিয়ে এই গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, রোজ ডিম খাওয়া নাকি ধূমপানের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক। এত দিনের পুরনো ধারণা খানিকটা হলেও পাল্টে গেল গবেষকদের গবেষণায়।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকছে। এছাড়াও বলা হয় ডিম থেকে ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। কিন্তু এতে থাকা উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থেকেই আর্থারাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গবেষকদের মতে ডিম থেকে যতটা দূরত্বে থাকা যায় ততই ভাল।
এদিকে, মার্কিন গবেষকদের এই সমীক্ষাকে অসম্পূর্ণ বলেই মনে করছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ অরিন্দম জানা ।
তাঁর মতে, ধূমপানের সঙ্গে ডিমের তুলনা করাটাই অনুচিত। ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অবগত। সুসম আহারের তালিকায় রয়েছে ডিম। শিশুর শারীরিক বিকাশ, রোগীর সেরে ওঠার পর শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার! তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টরল, হার্টের সমস্যা, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলাই ভাল।
কিন্তু ধূমপানের কোনও উপকারি দিকই নেই। ধূমপানের অভ্যাস সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিকর। তাই ধূমপানের সঙ্গে ডিমের তুলনা করাটাই একেবারেই অনুচিত বলে মত পুষ্টিবিদদের ।