আদরের বিড়াল নিয়ে খুনসুটি, করতে পারে জীবননাশ
কলকাতা টাইমস :
আদরের পোষা বিড়ালটি নিয়ে খুনসুটি করতে ভালোই লাগে। কিন্তু এটাই আপনার জীবননাশের কারণ হতে পারে বলে এক গবেষণায় জানান বিজ্ঞানীরা।
মূলত বিড়ালকে আদরের করা সময় বা খেলার সময় তার নখের আঁচড় লাগে দেহে। এ থেকে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটতে পারে যাকে বলা হয় ‘ক্যাট-স্ক্র্যাচ ডিজিস’। এর ফলে জ্বর ও ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
মাছি বা পরজীবীর কারণে এক বিড়াল থেকে অন্য বিড়ালে ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। বিড়ালকে ধরা, চুমু দেওয়া, নাক ঘষা বা বিড়ালের আঁচড় ও কামড়ের মাধ্যমে মানুষের দেহে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে।
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (সিডিসি) অ্যান্ড প্রিভেনশন বড় পরিসরে এ জরিপ চালায়। তাতে বলা হয়, বিশেষ করে বিড়াল এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়।
সিডিসি এর ড. ক্রিস্টিনা নেলসন বলেন, এই ব্যাকটেরিয়ার প্রভা আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি। ক্যাট-স্ক্র্যাচ প্রতিরোধ করা যায়। এ রোগের ধরন ও প্রভাব চিহ্নিত করতে পারলে প্রতিরোধের উপায় আরো সহজ হয়ে আসবে। বিশেষজ্ঞরা যারা বিড়াল পোষে তাদের আরো সাবধান হতে বলেছেন। বিড়ালকে ছোঁয়ার পর ভালোমতো হাত ধুয়ে ফেলতে বলেন।
এ গবেষণায় বিড়ালের কারণে ১৩ হাজার সংক্রমণের ঘটনা টানা ৮ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৪.৫ শতাংশ এ ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত। এটা ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।
তবে যাদের তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে তার অল্প সংখ্যক এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সাধারণত উষ্ণ অঞ্চলে ক্যাট-স্ক্র্যাচের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এসব স্থানে মাছি বা পরজীবী খুব সহজে বংশবিস্তার করতে পারে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের মাসগুলোতে এরা বংশবিস্তার করে। তবে শরতের তাপমাত্রা এদের ডিম পাড়ার অনুকূল সময়।
ক্যাট-স্ক্র্যাচের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি থাকে ৫-৯ বছর বয়সী শিশুরা। প্রতি ১ লাখ মানুষের মাঝে এদের সংখ্যা ৯.৪ শতাংশ।
বাবা-মাকে তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন যে তাদের শিশুরা যেন বিড়ালকে চুমু না দেয় বা খুব বেশি স্পর্শ না করে। আর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বাড়িতে বিড়াল না পালা। আর বিড়াল থাকলে তাদের দেহ থেকে এসব পরজীবী তাড়াতে হবে। ভিনেগার, লেবুর রস বা অ্যাপল সিডারে গোসল করালে নিরাপদ থাকা যেতে পারে।