লঙ্কা-লেবু সুতোয়, শুধু জীবন নয় স্বাস্থ্যে প্রভাব ভাবতেও পারবেন না!
কলকাতা টাইমস :
বাড়ির সদর দরজা, গাড়িতে বা দোকানে লেবু-লঙ্কা ঝোলানো একটা খুব সাধারণ প্রথা। অশুভ শক্তিকে তাড়ানোর জন্য ছোটবেলা থেকেই এই প্রচলন দেখে আসছি আমরা। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কেন লেবু-লঙ্কা ঝোলানো হয়? যাঁরা জ্যোতিষে বিশ্বাসী, তাঁরা অনেকেই হয়তো কিছু না জেনে শুধু বিশ্বাসের বশে বাড়ির দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলান। আবার অবিশ্বাসীরাও আসল কারণ না জেনে এই সব কুসংস্কার বলে নাট সিঁটকোন।
মনে আছে ছোটবেলায় একবার বন্ধুর সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিলাম। পথে সুতোয় গাঁথা লেবু-লঙ্কা পড়েছিল। আমার পা ওই লেবু-লঙ্কার ওপর প্রায় পড়ে যাচ্ছিল। আমার বন্ধু কোনওরকম আমাকে আটকায়। তার জেরে লেবু-লঙ্কার ওপর পা না পড়লেও পা পিছলে আমি পড়ে যাই। তখন আমার বন্ধ আমায় বলে যে ওই লেবু-লঙ্কা কেউ অশুভ শক্তি তাড়ানোর জন্য বাড়ির দরজায় ঝুলিয়েছিল। ওর ওপর পা দিলে ওই অশুভ শক্তি আমার শরীরে প্রবেশ করতে পারত।
এরকমই কত ভুল ধারণা লেবু-লঙ্কা সম্পর্কে আমাদের মনে গেঁছে আছে। এবার জেনে নিন লেবু-লঙ্কা ঝোলানোর আসল কারণটা ঠিক কী?
পাতিলেবুর মধ্যে আছে সাইট্রাস অ্যাসিড এবং কাঁচালঙ্কায় রয়েছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। সুতোয় গাঁথা হলে লেবু ও লঙ্কা দুয়ের থেকেই একটা ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোয়। এই দুই গন্ধ একসঙ্গে মিশলে তা কীটপতঙ্ককে দূরে সরায়। এই দুয়ের অ্যারোমাটিক ফ্লেভার ব্যাকটিরিয়া দূর করে। ফলে ঘর-বাড়ি থাকে পরিচ্ছন্ন নির্মল।
সাতটি লঙ্কা ও একটু লেবু সুতোয় বেঁধে ঝুলিয়ে রাখলে তা আসলে প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনারের কাজ করে। অত্যন্ত কম দামে আপনার ঘর-বাড়িকে পোকামাকড় মুক্ত রাখতে এর জুড়ি নেই। শুধু সাত দিন অন্তর এক বদলাতে ভুলবেন না। কারণ বেশি দিন হয়ে গেলে লেবু-লঙ্কা শুকিয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে এর নিজস্ব অ্যারোমেটিক ফ্লেভার।