স্বল্প আঁচের রান্নায় দীর্ঘ আয়ু
কলকাতা টাইমস :
খুব ধীরে রান্না করার বিশেষ পদ্ধতি বহুকাল ধরে চলে আসছে। তবে এটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ১৯৭১ সালের দিকে। আমেরিকার কম্পানি রাইভাল ধীরগতিতে রান্নার বিশেষ পাত্র প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাক্সোন ইউটিলিটিস করপোরেশনকে কিনে নেয়। তারা ‘অল পারপাস কুকার’কে আরো উন্নত করে বানায় ‘ক্রক পট’। আমেরিকান নারীদের মধ্যে এই পটটি দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বলা হয়, এভাবে খাবার রান্না করে খেলে দীর্ঘায়ু মেলে।
পুষ্টিমান : সেলিব্রিটি কনসালটেন্ট সন্ধ্যা গুগনানি বলেন, ধীরে রান্না করা হলে খাবারের ফ্যাট কমে যায়। কাজেই এটা রান্নার স্বাস্থ্যকর উপায়। এ পটে রান্না করতে ঝামেলাও অনেক কম। এতে তেল খুব লাগে। কারণ যথেষ্ট পরিমাণ ময়েশ্চার থাকে। অন্যদিকে, উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হলে অনেক পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।
সন্ধ্যা বলেন, তাপমাত্রার মাধ্যমে দ্রুত রান্না করা হলে তা খাবারের প্রোটিনেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। কয়েক ধরনের অ্যামাইনো এসিড গুণ হারাতে পারে। কম তাপমাত্রায় ধীর গতিতে রান্না করা হলে খাদ্য উপাদান দেহ সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করতে পারে।
দারুণ সুস্বাদু : সেলিব্রিটি শেফ বরুণ রামচন্দ্র জানান, ধীরগতিতে রান্নার মূল বিষয় হলো খুব অল্প তাপে রান্না করা। এই উপায়ে রান্না খাবারের স্বাদ অদ্ভুতভাবে বৃদ্ধি করে। অন্য যেকোনো উপায়ে রান্নার চেয়ে স্লো কুকিং খাবারে স্বাদ বৃদ্ধি করে।