সময়কে ফাঁকি দিয়ে বৃদ্ধার কাছে এলেন যুবক স্বামী
স্বামীর মৃত্যুর পর বাড়িতে একাই থাকতেন ব্রিটেনের বাসিন্দা বৃদ্ধা ক্যাথি। এক রাতে হঠাৎ সেই বাড়ি থেকে পুলিশের কাছে ফোন যায়। বৃদ্ধা ৯১১ নম্বর ডায়াল করে জানান, কে যেন তার বাড়িতে ঢুকে হাঁটাহাঁটি করছে। সঙ্গে এটাও জানালেন, বাড়িতে তিনি ছাড়া আর কেউ থাকেন না। তার সন্দেহ হচ্ছে যে সম্ভবত বাড়িতে চোর ঢুকেছে। একারণেই পুলিশের সাহায্য তার দরকার। পুলিশ জানতে চাইলো, লোকটি এখন কোথায়? বৃদ্ধা বললেন, আগন্তুক এখন বাথরুমে ঢুকেছে।
পুলিশ বৃদ্ধাকে পরামর্শ দেয় বৃদ্ধা যেন চুপচাপ থাকেন। চোর যেহেতু বাথরুমে রয়েছে কাজেই কোনো অবস্থাতেই বৃদ্ধা যেন বাথরুমে না যান। কিন্তু কে শোনে পুলিশের কথা? কৌতুহলের কাছে পরাজিত হয়ে কিছুক্ষণ বাদে বাথরুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ান বৃদ্ধা ক্যাথি। সেই সময়ে অবশ্য কল থেকে জল পড়ার শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে বাথরুমের দরজাও খুলে ফেলেন তিনি। কিন্তু বাথরুমের ভেতরে তাকিয়ে যা দেখেন তাতে রীতিমতো আঁতকে উঠলেন!
দেখলেন, বাথটাবে এক যুবক শুয়ে রয়েছে। পরনে কোনো কাপড় নেই, কোনো নড়াচড়াও নেই। যেন মানুষটি ঘুমিয়ে আছে। বৃদ্ধার আঁতকে উঠার কারণ কিন্তু সেটি নয়! ক্যাথি দেখলেন, বাথটাব পূর্ণ হয়ে রয়েছে লাল রক্তে। বোঝাই যাচ্ছে, বাথটাবে শুয়ে থাকা মানুষটি মৃত। কিন্তু চেহারাটা যে খুব চেনা!
কাছে গিয়ে মৃতের চেহারা খুঁটিয়ে দেখে বৃদ্ধার আতঙ্ক যায় আরও বেড়ে! তিনি দেখলেন, যে মানুষটি বাথটাবের জলে মরে রয়েছে, সে তার স্বামী। কিন্তু খটকা দু’টি জায়গায়! প্রথমটি হচ্ছে, বৃদ্ধার স্বামী মারা গিয়েছেন আজ থেকে ১৭ বছর আগে অর্থাৎ ২০০১ সালে। আর দ্বিতীয় খটকাটি হচ্ছে, মুখটি স্বামীর মতো হলেও তা ছিল যুবকের।পুরো বিষয়টিই ফোনে পুলিশকে জানাচ্ছিলেন বৃদ্ধা। এটাও বললেন, বাথটাবে যাকে দেখছেন তিনি তার স্বামী ঠিকই কিন্তু এখনকার সময়ের নয়!
নিজের যৌবনকালে বিয়ের আগে প্রথম তার স্বামীকে যেমনটা দেখেছিলেন ঠিক তেমন। এমনকি তার স্বামীর যৌবনকাল থেকে হাতে যে ট্যাটু ছিল, এই মৃতদেহেও সেটি রয়েছে। যেন সময়কে ফাঁকি দিয়ে ভবিষ্যতে চলে এসেছে অতীতের যুবক স্বামী।
বিভ্রান্ত বৃদ্ধার কথা শুনে পুলিশও বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ফোনে কথার মাঝেই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছায়। কিন্তু বৃদ্ধা পুলিশ বাহিনীকে যখন বাথরুমে নিয়ে যান, সেখানে কিছুই ছিল না। বাথটাব ছিল খটখটে শুকনো। মৃতদেহ দূরে থাক, কোথাও ছিল না এক ফোঁটা রক্তের দাগ পর্যন্ত!
পরে বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় হৈচৈ শুরু হয়। অনেকের মতে বৃদ্ধার স্বামী সময়ের গন্ডি পেরিয়ে চলে এসেছিলেন বর্তমান সময়ে। আবার অনেকে ঘটনাকে কাল্পনিক বলেও আখ্যা দেন।