November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

চর্বিযুক্ত খাবারেই বিষণ্নতার বিষ !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মরা কিন্তু শুধুমাত্র মুখের স্বাদের জন্য চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি। এটা আমাদের দেহে তেমন একটা উপকারে আসে না। বিশেষ করে প্রাণী থেকে পাওয়া চর্বি আমাদের ক্ষতি করে থাকে। তাছাড়া অধিক চর্বিযুক্ত খাবার দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা সৃষ্টি করে। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীরের ওজন ও রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা যায়। একই সঙ্গে মস্তিষ্কেরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে।
বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের ওপর গবেষণা করেছেন। তারা দেখতে পান, ইঁদুরকে অধিক চর্বিযুক্ত খাদ্য থেকে দূরে রাখলে তাদের আর বিপাকীয় সমস্যায় পড়তে হয় না। ফলে তাদের বিষণ্নতার লক্ষণও কমে যায়।

সাধারণত বিষণ্নতার ক্ষেত্রে পূর্বপ্রতিরোধ সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা যদি বিপাকীয় ব্যাধিকে বিষণ্নতার কারণ হিসেবে বিবেচনা করি, তবে মনোচিকিৎসকরা এমন ওষুধ দিতে উৎসাহিত হবেন, যার ফলে বিপাকীয় কাজ কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন হবে না।

গবেষণার ফল মানবদেহের ওপর প্রয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এ গবেষণার ফল নতুন করে দেখিয়েছে টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীদের বিষণ্নতার চিকিৎসায় বিপাকীয় নিয়মানুবর্তিতা বেশি কাজে দেয়।

বিষণ্নতা ও ডায়াবেটিস রোগে পৃথকভাবে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বিজ্ঞানীরা এর মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজতে চেয়েছেন। দেখা গেছে, প্রাথমিক জীবনে বিষণ্নতায় ভুগেছেন, এমন ব্যক্তিরা বেশি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকেন। ১০-৩০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী মারাত্মক বিষণ্নতায় ভোগেন। অতীত গবেষণায় দেখা গেছে, চর্বিযুক্ত খাদ্য, বিশেষ করে অধিক পরিমাণে মাংস, দুগ্ধ ও বাদামজাতীয় খাদ্য গ্রহণ বিষণ্নতা বাড়িয়ে দেয়।

Related Posts

Leave a Reply