ঠাণ্ডা জল খাচ্ছেন না তো?
কলকাতা টাইমস :
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশে গরমের মাত্রাও বেড়ে গেছে। বাইরের কাঠফাটা রোদ থেকে ঘরে এসে দ্রুত তৃষ্ণা মেটানোর জন্য আমরা অনেকেই ফ্রিজ খুলে ঠাণ্ডা জল পান করি। শরীর ও মন জুড়িয়ে নেই। কিন্তু বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা জল পান করা উচিত না। এতে তৃষ্ণা তো মেটেই না, বরং শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে রাস্তা থেকে ঘরে ফিরেই যদি ঠাণ্ডা জল পান করেন তাহলে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। জেনে নিন কেন গরমে বরফ ঠাণ্ডা পানি পান করা উচিত নয়।
বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা জল পান করলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বিশেষ করে খাবারের সঙ্গে বরফ ঠাণ্ডা জল বা আইস ড্রিঙ্ক খেলে তা পরিপাকের কাজে বাধা দেয় ও শরীর খারাপ হয়।
পরিপাকে সমস্যা
বরফ ঠাণ্ডা জল বা ঠাণ্ডা পানীয় রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে দেয়। পরিপাকে বাধা দেয় ও পরিপাকের সময় প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণেও বাধা দেয়। সেই সঙ্গেই পানির তাপমাত্রার সঙ্গে সাম্য বজায় রাখতে গিয়ে ডিহাইড্রেশন হয়ে যেতে পারে।
গলা ব্যথা
গরম কালে বরফ ঠাণ্ডা জল পান করলে ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঠাণ্ডা জল শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়।
খাওয়ার ঠিক পরেই ঠাণ্ডা জল পান করলে তা খাবারে থাকে ফ্যাট জমিয়ে দিতে পারে। ফলে ফ্যাট হজম হতে বাধা পায় ও শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়। তবে শুধু ঠাণ্ডা জল নয়, খাওয়ার ঠিক পরই পানি পান করা উচিত নয়। অন্তত ৩০ মিনিট পর জল পান করুন।
হার্ট রেট
কিছু গবেষকরা জানিয়েছেন, ঠাণ্ডা জল হার্ট রেট কমিয়ে দিতে পারে। বরফ ঠাণ্ডা পানি দশম কার্নিয়াল নার্ভকে উত্তেজিত করে। এ নার্ভ হার্ট রেট কমিয়ে দেয়।
শক ফ্যাক্টর
ব্যায়াম করার পর খুব গরম লাগে। তখন অনেকেই ঠাণ্ডা জল পান করতে চান। কিন্তু ব্যায়ামের পর ঠাণ্ডা জল পান করা উচিত নয়। জিম এক্সপার্টরা ব্যায়ামের পর গরম জল পান করতে বলেন। কারণ ব্যায়ামের পর শরীর গরম হয়ে যায়। এ সময় বরফ ঠাণ্ডা জল পান করলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে তারতম্যের জন্য পৌষ্টিকনালীতে প্রভাব ফেলে। শরীর কিন্তু ঠাণ্ডা জল শোষণ করতে পারে না। পেটে কষ্টদায়ক যন্ত্রণাও হতে পারে।