নিয়মিত কলার পাশাপাশি তার খোসাটাও খান, পাল্টে স্বাস্থ্য
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
যদি কলার খোসা খাওয়া যায় তাহলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, অ্যান্টি-বায়োটিক প্রপাটিজ, ফাইবার এবং একাধিক পুষ্টিকর উপাদান শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণ এবং পেটের রোগকেও দূরে রাখে। এখানেই শেষ নয়, কলার খোসার আরও উপকারিতা আছে, যে সম্পর্কে বাকি প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। প্রসঙ্গত, নিয়মিত কলার খোসা খাওয়া শুরু করলে সাধারণত যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল…
১. যন্ত্রণা কমায়: কথাটা শুনতে আজব লাগলেও একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে বাস্তবিকই কলার খোসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রকৃতিক উপদানাটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে যন্ত্রণা কমে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, যন্ত্রণার জায়গায় কম করে ৩০ মিনিট কলার খোসা ঘোষলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
১. যন্ত্রণা কমায়: কথাটা শুনতে আজব লাগলেও একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে বাস্তবিকই কলার খোসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রকৃতিক উপদানাটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে যন্ত্রণা কমে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, যন্ত্রণার জায়গায় কম করে ৩০ মিনিট কলার খোসা ঘোষলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
২. ব্রণর প্রকোপ কমে: নিয়মিত কলার খোসা খাওয়ার পাশাপাশি যদি কম করে পাঁচ মিনিট খোসাটা সারা মুখে ঘষা যায়, তাহলে একদিকে যেমন ব্রণর প্রকোপ কমতে শুরু করে, তেমনি যে কোনও ধরনের দাগ মিলিয়ে যেতেও সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৩. দাঁতের সৌন্দর্য বাড়ে: একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত কলার খোসা খাওয়া শুরু করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মুখ গহ্বরের অন্দরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে মুখগহ্বর সম্পর্কিত কোনও রোগই মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।
৪. স্ট্রেস এবং মানসিক আবসাদের প্রকোপ কমে: কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় সেরোটনিন, যা নিমেষে মন ভাল করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সম্প্রতি তাইওয়ান ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে হওয়া একটা গবেষণা অনুসারে টানা তিন দিনে যদি ২ টো করে কলার খোসা খাওয়া যায় শরীরে সেরোটনিনের মাত্রা প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে অবসাদের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
৫. লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি দূর হয়: শরীরে যাতে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা হ্রাস না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখে কলার খোসা। ফলে অ্যানিমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬. ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: ফাইবার শুধু কোলেস্টেরল কমায় না। সেই সঙ্গে ওজন হ্রাসেও সাহায্য করে। আসলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে। ফলে বেশি মাত্রায় খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যারা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এইভাবে কলার খোসা ওজন কমাতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
৭. অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়: ট্রাইপটোফেন নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে কলার খোসায়, যা ঘুম আসতে সাহায্য় করে। তাই তো যারা অনিদ্রার শিকার, তারা আজ থেকেই কলার খোসা খোয়া খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
৮. শরীরকে বিষ মুক্ত করে: কলার খোসা, কোলোনে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে, যা ধীরে ধীরে শরীরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূর করে।
৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে: কলার খোসায় রয়েছে লুটিন নামে একটি উপাদান, যা দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ছানি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১০. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে: ফাইবার, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আর এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে কলার খোসায়। তাই তো যারা এমন রোগে ভুগছেন, তাদের এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নিতেই হবে। কারণ ভুলে যাবেন না, কোলেস্টেরল একা আসে না, সঙ্গে নিয়ে আসে হাজারো মারণ রোগকে। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান হওয়াটা জরুরি।