November 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

জীবনের প্রতিটি দুঃখ বদলে যাবে সুখে, যদি …

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

দুঃখ এমন একটা বিষের মতো হয় যা ধীরে ধীরে আমাদের ভিতর থেকে শেষ করে দেয়। তাই তো চরম কিছু ঘটে যাওয়ার আগে দুঃখীদের পথ দেখাতে এবং সুখের সন্ধান দিতে এই লেখায় এমন ৫ টি মন্ত্রের প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল,
মন্ত্র অনেকটা ওষুধের মতো হয়। মেডিসিন যেমন রোগের উপশম করে। তেমনি মন্ত্র আত্মার চোটকে সারায়। আসলে মন্ত্র পাঠ করার সময় আমাদের ঘিরে থাকা নেগেটিভ এনার্জি কমে যেতে শুরু করে। আর সেই ফাঁকা জায়গা নেয় পজিটিভ এনার্জি।
মন্ত্রর পাঠের সহজ পাঠ: দুঃখ দূর করতে মন্ত্র পাঠ শুরু করার আগে কিছুটা সময় মনোযোগ দিয়ে ভাবুন আপনি কী কারণে দুঃখে আছেন। তারপর এক মনে এই প্রবন্ধে আলোচিত যে কোনও একটি মন্ত্রের পাঠ শুরু করুন। খেয়াল রাখবেন মন্ত্র পাঠ করতে হবে ১০৮ বার। প্রয়োজনে ১০৮ টা পুঁথির একটা মালা ব্যবহার করতে পারেন। তাতে গুনতিটা ঠিক থাকবে।

প্রসঙ্গত, মন্ত্র পাঠ শেষ করার পর দেখবেন মনটা খুব হলকা হয়ে যাবে। সেই সময় দুঃখের আঁচ আপনার মন এবং মস্তিষ্ককে ছুঁতেও পাবেন না। দুঃখকে বিনাশ করতে যে ৫টি মন্ত্র দারুন কাজে আসে সেগুলি হল… “ওম মন্ত্র”: এই মন্ত্রটিকে “দ্য সাউন্ড অব ইউনিভার্স” বলা হয়। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি পাঠ করার সময় সারা মানব জগত কেঁপে ওঠে। সেই সঙ্গে আমাদের মনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দুঃখের বীজও ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে আনন্দে মন ভরে ওঠে, দুঃখ যায় ঘুঁচে। প্রসঙ্গত, দিনের কোনও এক নির্দিষ্ট সময়ে যদি প্রতিদিন ওম মন্ত্র পাঠ করা যায়। তাহলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কম করে ১০৮ বার মন্ত্রটি যপ করতে হবে।

ওম নমহ শিবায়”: সৃষ্টির শুরু যার হাত দিয়ে সেই দেবাদিদেবকে যদি একবার প্রসন্ন করতে পারেন তাহলে তো সুখের অন্তই থাকবে না। এক্ষেত্রে এই মন্ত্রটি প্রতিদিন পাঠ করলে মনের জোর বাড়বে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপও কমতে থাকবে। ফলে সুখ-দুঃখ সমান হয়ে উঠবে। আসলে আনন্দ এবং সুখ, সবেরেই আধার হল আমাদের মন। তাই একবার যদি মনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তো কেল্লাফতে! সেক্ষেত্রে দুঃখ আসুক কি সুনামি, কোনও কিছুই আপনার ভাল থাকাকে বিগ্নিত করতে পারবে না দেখবেন। প্রসঙ্গত,বিখ্যাত মার্কিন সাহিত্য়িক এলিজাবেথ গিলবার্ট প্রতিদিন শিব মন্ত্রের পাঠ করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে তিনি একবার বলেছিলেন, “দিস ইজ দ্য় গ্রেট মান্ত্র টু হেল্প বিল্ড সেল্ফ-কনফিডেন্স।” এবার বুঝতে পারছেন তো কতটা শক্তাশালী এই মন্ত্রটি।

“লোকাহ সামাস্তহা সুখিনো ভাবান্তু”: এই মন্ত্রটি পাঠ করলে মনের হারিয়ে যাওয়া শান্তি ফিরে আসে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদও দূরে পালায়। এক কথায় বলা যেতে পারে মন খারাপের ঝাঁপি বন্ধ করে দূর দেশে তাকে পাটিয়ে দিতে এই মন্ত্রটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চল। বিশেষত যারা সারাদিন মন মরা হয়ে পরে থাকেন, তাদের জন্যও তো এই মন্ত্রটি মহৌষধির কাজ করতে পারে।

শান্তি মন্ত্র: নাম থেকেই যেমনটা বুঝতে পারছেন মন এবং মস্তিষ্ককে শান্ত এবং নির্মল করে তুলতে এই মন্ত্রটি পাঠ করা জরুরি। বিশেষত যারা খুব চঞ্চল, তাদের ক্ষেত্রে এই মন্ত্রপাঠ দারুন কাজে আসতে পারে। মন্ত্রটি হল- “ওম সোওয়াহা নবাৎতু, সোওয়াহা নও ভুননটুকু, সোওয়াহা ভাইরাম করভাভাই, তেজস্বী অদ্বিতীতমস্তু মা ভদ্রতাভাই ওম।” মন্ত্রটির অর্থ হল, হে ভগবান আমাকে রক্ষা করুন। আমার উপর আশীর্বাদের হাত রাখুন। আমাকে শক্তি দিন যাতে মানুষের ভাল করতে পারি। সবার পাশে থাকতে পারি। যাতে মানবিক হয়ে উঠতে পারি। আমার মনে যেন কারও প্রতি হিংসা বা ক্ষোভের জন্ম না হয়। প্রসঙ্গত, একাধিক প্রাচীন পুঁথিতে লেখা রয়েছে যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে সুফল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ ঝুট-ঝামেলার হাত থেকেো রক্ষা মেলে।

“ওম গাম গানপাতায়া নমহ”: এই মন্ত্রটির অর্থ হল, হে ভগবান গনেশ, আপনি তো সিদ্ধি দাতা। আপনি তো সংকট মোচনকারী। আমায় আশীর্বাদ করুন যাতে আমি জীবনের সকল বাঁধা পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। সুখের সন্ধান পেতে পারি। সফলতা যেন আমার রোজের সঙ্গী হয়। প্রতিদিন এই মন্ত্রটি যপ করলে বাস্তবিকই জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তাই গভীর কোনও সঙ্কটে থেকে থাকলে, আজ থেকেই গনেশ ঠাকুরের শরনাপন্ন হন, দেখবেন শীঘ্র খারাপ সময় কেটে যাবে। সেই সঙ্গে সাফল্যে এবং আনন্দে ভরে উঠবে জীবন। এই মন্ত্রগুলি পাঠ করে কেমন সুফল পেলেন তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না যেন!

Related Posts

Leave a Reply