উপোস করেন নাকি? ফল জানলে ভিমরি খাবেন
১. হজমে উন্নতি হয়: উপোস করলে শরীরে লেপটিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এবং হজমের উন্নতি ঘটে। ফলে, বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
২. কর্মক্ষমতা বাড়ে: সমীক্ষা বলছে, মাঝেমধ্যে উপোস করলে শরীরের ভেতর বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন, হরমোনের ক্ষরণে কিছু বদল আসে। যার প্রভাবে ঝটপট ওজন কমে। আবার সার্বিকভাবে শরীরের কাজ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৩. ডায়াবেটিস হয় না: বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাসে ১-২ বার উপোস করলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
৪. ইনফ্লেমেশনের মাত্রা কমে: নানা জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিনই শরীর ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ সৃষ্টি করে। কিন্তু কোনও করণে ইনফ্লেমেশনের মাত্রা বেড়ে গেলে বিপদ! সেক্ষেত্রে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ে ক্যান্সার এবং আর্থ্রাইটিসের মতো মারাত্মক রোগের আক্রমণ। মাঝে-মধ্যে উপোস করলে শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৫. হার্টের উন্নতি ঘটে: সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে মাসে এক দিন না খেয়ে থাকলে হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫৮ শতাংশ কমে যায়। শুধু তাই নয়, একদিন উপোস করলে আমাদের শরীরে হিউমেন গ্রোথ হরমোনের মাত্র বৃদ্ধি পায়। ফলে পেশির গঠন ভাল হয় এবং ওজন কমতে শুরু করে।
৬. ক্যান্সার দূরে থাকে: একদিন শুধু জল ছাড়া আর কিছু না খেয়ে থাকলে ক্যান্সার কোষের বিভাজন ধীর গতিতে হয়। ফলে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
৭. মস্তিষ্ক ধারালো হয়: একই সঙ্গে বুদ্ধির ধার আর স্মৃতিশক্তিবাড়াতে মাসে একবার উপোস মাস্ট। কারণ, এতে মস্তিষ্কের ইনফ্লেমেশনের মাত্রা কমতে শুরু করে। এতে ব্রেন ফাংশানের এতটাই উন্নত হয় যে কোনও ধরনের ব্রেন ডিজিজ ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না।
৮. রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়: উপোস করলে একদিন বিশ্রাম পায় শরীরের সমস্ত কলকব্জা। তাতে প্রতিটি কোষ এবং শিরা-উপশিরা এতটাই কর্মক্ষম হয়ে ওঠে যে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে রোগভোগের আশঙ্কাও যে কমে, তা তো বলাই বাহুল্য!
৯. আয়ু বাড়ে: উপোস করলে সত্যিই আয়ু বাড়ে। সারাদিন না খেয়ে থাকলে শরীরে হাজারো-লক্ষ সেল নিজেকে রিবুট করতে শুরু করে দেয়। ফলে প্রতিটি কোষের কর্মক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোন রোগই দেহের ধারে কাছে আসতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়তেও সময় লাগে না।