সোডা পানীয় ‘ডায়েট’ হলেও মারাত্মক এ ক্ষেত্রে !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
কম বেশী সবাই আমরা জানি, সোডা পানীয় আমাদের শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। তাই প্রায়শই আমরা দেখতে পাই অনেকেই শরীর ফিট রাখতে ও যাতে মোটা না হয়ে যান তার জন্য সোডা পানীয়র বদলে ডায়েট সোডা খেতে শুরু করেন। ডায়েট সোডা পানীয় সংস্থাগুলি ‘লো ক্যালোরি’, ‘শূন্য চিনি’ মূলত এই দুই শব্দের বিজ্ঞাপন করে। এর ফলে আমরাও ভাবতে শুরু করি, এই ধরনের ডায়েট সোডায় চিনি একেবারে থাকেই না, তাই ক্যালোরিও কম। তাই এবার কোল্ডড্রিঙ্ক খাওয়ায় কোনও বাধা নেই।
কিন্তু সত্যিটা হল ডায়েট সোডাও এমনি সোডার মতোই ক্ষতিকর। হয়তো দীর্ঘমেয়াদে সোডা পানীয়ের চেয়ে বেশিই ক্ষতিকর ডায়েট সোডা।
ডায়েট সোডার ফলে কোন কোন সমস্য়া হতে পারে দেখে নিন একঝলকে
মাইগ্রেনের ব্যথা : বাড়তে পারে ডায়েট সোডায় যে ধরণের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা মস্তিষ্কে, স্নায়ুতে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে ঘনঘন মাথাধরা, হতে পারে। এমনকী ইনসোমেনিয়াও হতে পারে।
মনসংযোগের অভাব : ডায়েট সোডা স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এর ফলে লঘুমস্তিষ্কের কোষগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সতর্ক থাকার প্রবণতা কমতে শুরু করে, মনসংযোগের অভাব দেখা দিতে পারে। আপনি ডায়েট সোডা খাওয়া ছাড়লে শরীরে ইতিবাচক তফাৎ আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
স্বাদকোরকের সংবেদনশীলতা কমতে থাকে : গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়েট সোডা মস্তিষ্কে যে কোনও স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতাকে মিষ্টি স্বাদের দিকে পরিবর্তিত করতে সাহায্যে করে, এবং মিষ্টি খাওয়ার তীব্র আকাঙ্খাকে পরিতৃপ্ত না করে তা বরং বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে আপনি অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেতে শুরু করেন। ফলে ক্রমেই আপনা স্বাদকোরকের সংবেদনশীলতা কমতে থাকে।
ওজন কমতে মোটেই সাহায্য করেনা : যাঁরা ওজন কমানোর জন্য সোডার পরিবর্তে ডায়েট সোডা খান, তাদের জেনে রাখা ভাল যে ওজন কমাতে নয়, বরং ভুঁড়ি বাড়াতে সাহায্য করে ডায়েট সোডা।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা : সোডা পানীয়র নামে যতই ‘ডায়েট’ শব্দটি থাকুক না কেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে সোডার মতো একইভাবে উচ্চরক্তচাপ, ডায়বেটিস, কিডনির সমস্যার ঝুঁকি কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয় ডায়েট সোডা। এমনকী হৃদরোগও হতে পারে।
হাড় কমজোর হয়ে যায় : ডায়েট হোক বা না হোক যে কোনও ধরণের সোডা শরীরে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুজরার আগে প্রত্যেকদিনের এক একটি সোডা পানীয় কোমরের হাড়কে কমজোর করার সম্ভাবনা ১৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। হাড়ে মিনারেলের পরিমানও কমতে থাকে এবং তা ক্রমেই ভঙ্গুর হয়ে যায়।