হ্যান্ডসাম হওয়াটা যেন নরকের জীবন
কলকাতা টাইমস :
অন্যের চোখে স্মার্ট পুরুষ হয়ে ওঠে সোজা কথা নয়। প্রতিদিন সকাল থেকেই এ প্রক্রিয়ায় এগোন সব পুরুষ। পরিপাটি পোশাক, ঝকঝকে জুতো ও স্টাইলিশ চুল ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, স্মার্ট পুরুষ হয়ে ওঠে বেশ ঝক্কির ব্যাপার। এসব কথা তুলে ধরা হয়েছে দ্য গার্ডিয়ানে।
এ ঝামেলা টের পান যারা মার্কেটিংয়ে চাকরি করেন। কল সেন্টার, প্রমোশনাল কাজ এবং কোনো শো রুমে কর্মরত পুরুষদেরও স্মার্ট থাকতে হয়।
হ্যান্ডসাম থাকার বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের চোখে প্রতিযোগিতার মতো। তা ছাড়া দেখবেন, এসব অফিসের বসরাও আপনাদের আরো বেশি স্মার্ট হতে বলছেন। এর কারণ, এতে তার মার্কেটিং আরো বেশি বেড়ে যাবে।
যারা হ্যান্ডসাম তাদের সব কাজে আগে আগে এগিয়ে যেতে হয়। তাদেরই যেকোনো দায়িত্বে এগিয়ে দিতে চান বসরা। প্রেজেন্টেশন থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টকে পটাতে সুন্দর চেহারা ও স্মার্ট পুরুষরাই যেন বসদের ভরসা। তাই এ সকল পুরুষদের কর্মজীবনটা এক অর্থে বেশ ঝামেলার।
গবেষণায় বলা হয়, আবার এক বিপরীত দিকও রয়েছে। হ্যান্ডসাম পুরুষদের অনেক ক্ষেত্রেই সুযোগ মেলে না। হয়তো একটা সামাজিক অনুষ্ঠানে বেশি হ্যান্ডসাম হওয়ার কারণে কেউ আপনাকে নিমন্ত্রণ করতে চান না। সেখানকার তরুণীদের কথা মাথায় রেখেই নিমন্ত্রণকারী আপনাকে এড়িয়ে যাবেন। আবার সবার মাঝখানে হ্যান্ডসামরা আলাদা বিধায় সবাই তার দিকে একটু আড়চোখে তাকান। এটা অস্বস্তিকর।
অন্যদের চোখে হ্যান্ডসাম পুরুষরা অনেকটা মায়ার মতো। আর একে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে অন্যের মধ্যে। এভাবে এই পুরুষরা অনেকটা নরকের জীবন কাটান বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।