ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতে ঘি, ৭ উপকারে জরুরি
বলেন কী! অবশ্য়ই, তবে মাখনের জায়গায় ঘি ব্য়বহার করুন। টেস্ট তো ভালো হবেই, সেই সঙ্গে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না। কিন্তু অনেকে যে বলে ঘিও শরীরের জন্য় ভালো না, তবে? একেবারেই না। ঘি হল এমন মাখন, যা পরিশোধিত। অর্থাৎ মাখনের থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলি বাদ দিলে পাওয়া যায় ঘি। তাই তো আমাদের দেশে ঘি দিয়ে এত খাবার তৈরি হয়। দক্ষিণ ভারতে তো ভাতের সঙ্গে নানা রকমের মশলা মাখার সময় ঘিয়ের ব্য়বহার হয়ে থাকে। এতে খাবারে দারুন স্বাদ আসে।একাধিক নথি ঘেঁটে দেখা গেছে সেই প্রাচীন কাল থেকে সারা ভারতে ঘি শুধু খাবারে নয়, পুজার কাজেও ব্য়বহার হয়ে আসছে। কারণ স্বাস্ত্র অনুসারে ঘি হল একটি পবিত্র উপাদান।
এখনও যদি ঘি-এর উপকারিতা নিয়ে আপনার মনে প্রশ্ন থাকে তাহলে এক্ষুনি পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি।
ঘিয়ের মধ্য় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- ডি থাকে। আর এই ভিটামিনটি হাড়ের মধ্য়ে ক্য়ালশিয়াম শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে হাড়কে শক্ত করে।
২. চোখকে ভালো রাখে:ঘিতে রেয়েছ ভিটামিন -ই। তাই এটি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে অবটিক নার্ভের উন্নতি ঘটে। ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
৩. ঘিতে রয়েছে ভালো ফ্য়াট:বাটারের মধ্য়ে না থাকলেও ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড থাকে, যা ব্রেন সেলের জন্য় খুব ভালো। তাছাড়া সার্বিকভাবে শরীর ভালো রাখতেও ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড কোনও বিকল্প হয় না।
৪. হজম ক্ষমতা বাড়ায়:ঘিতে বেটেরিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান থাকে, যা ইন্টেস্টাইনের প্রদাহ কমিয়ে অ্যাসিডিটি এবং বদহজম রদ করে।
৫. ক্য়ানসারকে আটকায়:ঘিতে লিনোলিক অ্যাসিড থাকায় এটি শরীরের মধ্য়ে ক্য়ানসার সেলের গ্রোথ আটকে ক্য়ানসার হওয়া রাস্তা বন্ধ করে।
ত্বকের প্রদাহ কমায়:অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় সেই প্রাচীন কাল থেকেই ত্বককে মসৃণ করতে ঘিয়ের ব্য়বহার হয়ে আসছে। শুধু কী তাই, ত্বকের প্রদাহ, ক্ষত এবং পোড়ার দাগ মেটাতেও এটি দারুন কাজে আসে।
ক্ষিদে কমায়:ঘিতে ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড থাকায় এটি ক্ষিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায়। ফলে ওজন হ্রাসের পথ প্রশস্ত হয়।