November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

তামার বালা শুধু গয়না নয় শরীরের ঔষধিও !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রীরকে সুস্থ রাখতে তামার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো এই প্রবন্ধে এক অলঙ্কারের গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যার সম্পর্কে পড়তে পড়তে আপনি অবাক হয়ে যাবেনই! তামার বালা পরার রেওয়াজ বহু যুগ ধরে চলে আসছে আমাদের দেশে। তবে তা অনেকটাই সৌন্দর্যের অঙ্গ হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে।
কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এই অলঙ্কারটির অন্য অনেক গুণও আছে। যেমন বেশ কিছু রোগের উপশমে এই ধাতুটি দারুন কাজে আসে। কিন্তু বালা তো আমরা কব্জিতে পরি, তাতে শরীরের উপকার হয় কীভাবে? সেই নিয়েই তো আলোচনা করা হল এই প্রবন্ধে।
অর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমায়: যারা অস্টিওপোরোসিস অথবা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে ভুগছেন তাদের প্রায়শই কব্জিতে যন্ত্রণা এবং অস্বস্তি হওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে তামার বালাকে কাজে লাগাতে পারেন।
কারণ এই ধরনের কষ্ট কমাতে এই ধাতুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু কীভাবে তামার বালা এই কাজটি করে থাকে সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে: তামায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি উপাদান ত্বক ভেদ করে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করা মাত্র যন্ত্রণা কমতে শুরু করে দেয়। তাই যারা প্রায়শই যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পরেন তারা আজ থেকেই তামার বালা পরা শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।
খনিজের ঘাটতি দূর করে: বেশ কিছু গবেষণা চলাকালীন লক্ষ করে দেখা গেছে ঘামের সঙ্গে তামার বালায় উপস্থিত একাধিক ধাতু, বিশেষত জিঙ্ক এবং আয়রন শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফলে এই দুই খনিজের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ক্ষিদে কমে যাওয়া, ক্লান্তি, রক্তাল্পতা, চুল পরে যাওয়া এবং বন্ধ্যাত্বের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
সাপ্লিমেন্টের থেকে বেশি কার্যকরি: একাধিক গবেষণায় ইতিমধ্যেই এ কথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কপার সাপ্লিমেন্টের থেকে বেশি কার্যকরি হল তামার বালা। কারণ ঘামের সঙ্গে তামা সরাসরি রক্তে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে ওষুধের থেকে অনেক তাড়াতাড়ি উপকার মিলতে শুরু করে। তাই যারা নিয়মিত কপার সাপপ্লিমেন্ট নিয়ে থাকেন, তারা এবার থেকে তামার বালা পরে দেখুন তো উপকারে লাগে কিনা।
তামার ঘাটতি হওয়া একেবারেই ভাল নয়: শরীরে এই ধাতুটির ঘাটতি দেখা দিলে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে ধীরে ধীরে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দেয়। তাই তো সুস্থ থাকতে প্রত্যেকেরই তামার বালা পরা উচিত। এমনটা করলে শরীরে তামার ঘাটতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। ফলে আয়ু তো বৃদ্ধি পায়ই। সেই সঙ্গে সুস্থ জীবনের পথও প্রশস্ত হয়।
শরীরের বয়স বাড়ে না: তামায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধিমে করে দেয়। ফলে খাতায় কলমে বয়স বাড়লেও শরীরে তার কোনও ছাপই পরে না। অন্যান্য উপকারিতা: তামার আরও বেশ কিছু গুণ রয়েছে। যেমন শরীরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখে। সেই সঙ্গে অ্যানিমিয়ার মতো রোগের প্রকোপও দূর করে। আসলে তামায় উপস্থিত আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো রোগ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।

Related Posts

Leave a Reply