গ্যারেজে স্তুপের ভেতর এর এক ঝলক পেতেই পাল্টে গেল তার জীবন !
কলকাতা টাইমস :
বয়স পেরিয়েছে ষাট। ভালো দেখতে পান না চোখে। তবু সেই চোখেই মনে হলো হাতব্যাগটা কেমন যেন অন্যরকম। পরিত্যক্ত গ্যারাজে পড়েছিল পুরনো জিনিসের মধ্যে। কী মনে হতে‚ ব্যাগটা নিয়েই বেরোলেন লিন্ডা প্রিচার্ড। ঢুকেছিলেন বোন মার্গারেটের বাড়ির কাজে না লাগা গ্যারাজে। ব্রিটেনের ওয়েলসে।
পরে প্রৌঢ়া যা জানলেন‚ মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো অবস্থা। ওই ব্যাগ নাকি ১৫ ক্যারাটের সোনায় তৈরি। ব্যাগে যা নথি ও কাগজপত্র পাওয়া গেছে‚ জানা গেছে ওই ব্যাগের মালকিন ছিলেন নামী ধনী ডোরা জোন্স। সোনার এই ব্যাগটি ১৯১৩ সালে আর্ট ডেকো ইমানুয়েল জোসেফের নকশা করা। লিন্ডার বোন মার্গারেটের পরিচিত জিয়েন জোনসের স্ত্রী ডোরা। তিনিই ব্যবহার করতেন এই ব্যাগ। কী করে মহামূল্যবান ব্যাগ পারিবারিক বন্ধুর বাড়ির গ্যারাজে বাতিল জিনিসপত্রের মধ্যে এল‚ তা এখনও রহস্যাবৃত।
তবে ব্যাগে পুরনো নথির মধ্যে ছিল পাঁচের দশকের বেশ কিছু ছবি। সম্ভবত ওই সময় ব্যাগটি কিনেছিলেন ডোরা। যা ছবি আছে তার মধ্যে সবথেকে চমকপ্রদ হল প্রথম পক্ষের স্বামী ডেভিড আর্চিবাল্ডের সঙ্গে তাঁর ছবি। এক পথ দুর্ঘটনায় অকালপ্রয়াত হন ডেভিড। সেই খবরের কাটিংও ছিল ব্যাগে। জানা গেছে, ডেভিডের দুর্ঘটনা ঘটেছিল স্টিয়ারিং হাতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কারণেই।
আরএমএস কুইন মেরি ও আরএমএস কুইন এলিজাবেথ এই দু’টি জাহাজে ডোরা তাঁর স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই ভ্রমণের বেশ কিছু নথি ও ছবিওরাখা ছিল ওই হাতব্যাগে। পরে ডোরা বিয়ে করেছিলেন জিয়েন জোন্সকে।
আগামী মাসে নীলামে উঠবে ওই দুর্মূল্য হাতব্যাগ। ন্যূনতম মূল্য ধার্য করা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।