অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়েও বেশি কার্যকরী মধু: গবেষণা
কলকাতা টাইমস :
মধু অতিপরিচিত একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই এই উপাদানটি ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহৃ’ত হয়ে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানও এবার এই মধুর গুণাগুণ নিয়ে দিল গুরুত্বপূর্ণ ত’থ্য।নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, সর্দি-কাশির চিকিৎসায় প্রচলিত বিভিন্ন ওষুধ এবং অ্যা’ন্টিবা’য়োটিকের তুলনায় মধু বেশি কা’র্যকরী।
মধু সস্তা, সহজলভ্য এবং এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রি’য়া নেই। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় বলেন, ‘সর্দি-কাশির জন্য চিকিৎসকরা রোগীদের অ্যা’ন্টিবা’য়োটিকের বিক’ল্প হিসেবে মধু খাওয়ার জন্য সুপা’রিশ করতে পারেন।’ আপার রে’সপিরে’টরি ট্রা’ক্ট ই’নফে’কশন (ইউআরটিআই) নাক, গলা, ক’ন্ঠস্ব’র এবং শ্বা’সনা’লীকে প্র’ভাবিত করে থাকে, যা ফুসফুস সং’ক্র’মণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এর ল’ক্ষণের মধ্যে রয়েছে- গলাব্য’থা, নাক বন্ধ এবং কা’শি।
শিশুদের কা’শি, গলাব্য’থা এবং সাধারণ সর্দির ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে দীর্ঘদিন ধ’রে মধু ব্যবহৃ’ত হয়ে আসছে। তবে প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে মধুর কা’র্যকারিতা প্রমাণের গবেষণাগুলো পদ্ধতিগতভাবে পর্যালোচনা হয়নি। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা গবেষণাগুলোর ত’থ্য প’র্যালোচনা করেছেন। এজন্য ১৪টি ক্লি’নিক্যা’ল ট্রা’য়ালের ত’থ্য বিশ্লে’ষণ করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বয়সের মোট ১,৭৬১ জন অংশগ্রহণকারী ছিল। এই গবেষণাগুলোর ডে’টা বিশ্লে’ষণ করে দেখা গেছে, সর্দি-কাশির ঘন’ত্ব এবং তী’ব্র’তা ক’মানোর ক্ষেত্রে মধু অনেক বেশি কার্যকর ছিল।
দুটি গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মধু খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি থেকে নিরাময় ওষুধের তু’লনায় ২ দিন আগে হয়েছে।
বিএমজে এভি’ডে’ন্স বে’জড মেডিসিন জা’র্নালে প্র’কা’শিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এই গবেষণায় বলা হয়, আপার রে’সপি’রেট’রি ট্রা’ক্ট ই’নফে’কশনে (ইউআরটিআই) প্রায়ই অ্যা’ন্টিবা’য়োটিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেহেতু বেশিরভাগ ইউআরটিআই ভাই’রাল, তাই অ্যা’ন্টিবা’য়োটিক প্রে’সক্রি’পশন উভয়ই অকা’র্যকর এবং অ’নুপযু’ক্ত।
বিজ্ঞানীদের মতে, আপার রে’সপিরে’টরি ট্রা’ক্ট ই’নফে’কশনের চিকিৎসায় অ্যা’ন্টিবা’য়োটিকের বিক’ল্প হিসেবে মধু প্রেস’ক্রা’ইব করা যেতে পারে।