ডাবল চিন? জেনে নিন মুখের মেদ ঝরানোর সহজ উপায়
মেদ বা ফ্যাট – সুস্থ, সুন্দর শরীরের পথে প্রধান বাধা। মেদ জমলে শরীরের গঠন যেমন খারাপ হয়ে যায়, দেখতে খারাপ লাগে, তেমনি শরীরেও একাধিক সমস্যাও দেখা দেয়। সাধারণত পেট, হাত, পায়ে মেদ জমে বলে জানি আমরা। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার মুখেও মেদ জমতে পারে? দেহের ওজন বাড়লে তার প্রভাব মুখে এসে পড়ে। মুখ ভারী দেখায়, গাল ফুলে যায়, বিশেষ করে থুতনির নীচে মেদ জমে গিয়ে ডাবল চিন দেখা যায়। থুতনির নিচে অতিরিক্ত মেদ জমে ঝুলে পড়ে। মুখের আদলটাই বদলে যায়। মুখকে বৃত্তাকার রূপ দেয়, ভারী করে দেয় মুখ। মুখের গঠন বদলে গিয়ে দেখতে একদম ভালো লাগে না। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাই গালে, থুতনির নিচে জমা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই কাজটা মোটেই সহজ নয়। পেটের মেদ বা ভুঁড়ি যদিও বা কমে, মুখের মেদ ঝরানো তার থেকেও কঠিন। তাহলে কীভাবে ঝরাবেন মুখের অতিরিক্ত মেদ? আসুন জেনে নিন।
১) ফেসিয়াল এক্সারসাইজ : অনেক ফেসিয়াল এক্সারসাইজ রয়েছে। মুখের চেহারার বদল ঘটাতে, ফ্যাট দূর করতে এবং পেশীর শক্তি উন্নত করতে ফেসিয়াল এক্সারসাইজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিনের রুটিনে এটা যোগ করলে মুখের পেশি ঠিক থাকে, আপনার মুখকে আরও হালকা করে তুলবে। কীভাবে করবেন এক্সারসাইজ ১০ সেকেন্ডের মতো আপনার জ্বি
হাকে বাইরে বের করে রাখুন। চিবুক ও ঘাড়ের পেশিগুলি অনুভব না করা পর্যন্ত এভাবে রাখবেন। এই এক্সারসাইজ করলে মুখের মেদ ঝরবে।
২) কার্ডিও করুন : প্রতিদিন সাধারণত দেহের ওজন বাড়লে মুখেও মেদ দেখা দেয়। তাই মুখের মেদ ঝরাতে হলে দেহের ওজন কমাতে হবে। কার্ডিও বা অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে হার্ট রেট বাড়ে। কমবে ওজন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কার্ডিও করলে ফ্যাট নষ্ট হয়। প্রতিদিন ২০-৪০ মিনিট কার্ডিও এক্সারসাইজ করলেই কাজ হবে।
৩) জল খান : বেশি ছোট থেকেই পড়ে এসেছি, জলই জীবন। জলের উপকারিতা সবার জানা। মুখের মেদ ঝরাতে জল ভীষণ কার্যকর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেকোনও খাবার খাওয়ার আগে যদি জল খান, তাহলে আপনি পরিমাণে কম খাবার খাবেন। কম ক্যালোরি শরীরে গেলে ওজন বাড়বে না। মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে জল।
৪) মদ খান কম : মাঝে মধ্যে ডিনারের আগে ওয়াইন পান করা ঠিক আছে, কিন্তু প্রতিদিন মদ খেলে মুখের মেদ বাড়ে। কারণ অ্যালকোহলে থাকে প্রচুর ক্যালোরি, যা ওজন বাড়াবে। আরও পড়ুন :স্ন্যাকস খেয়েও কমবে ওজন! জেনে নিন কোন স্ন্যাকসগুলো খাবেন
৫) কার্বোহাইড্রেট খান কম :কুকিজ, ক্র্যাকারস, পাস্তা জাতীয় খাবার খান কম। এগুলো শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ায়। এই সমস্ত খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব কম থাকায় তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। খাবার হজম হয়ে গেলেই খিদে পাবে। আর আপনি বেশি খাবার খেয়ে ফেলবেন।
৬) ঘুমান রুটিন মেনে : ঘুম আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ দরকার। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে। কম ঘুমের ফলে স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয় যা ওজন বাড়িয়ে তোলে।
৭) সোডিয়াম গ্রহণ কম করুন : ওজন কমানোর জন্য সোডিয়াম কম খাওয়া দরকার। কারণ সোডিয়াম শরীরে জল ধরে রাখে, যা শরীরের ওজন বাড়ায়। তাই সোডিয়াম যুক্ত খাবার খান কম।
৮) ফাইবার খান বেশি : মুখের মেদ ঝরাতে ফাইবারযুক্ত খাবার খান বেশি। ফাইবার যুক্ত খাবার হজম হতে সময় লাগে, ফলে পেট অনেকক্ষণ ভরে থাকবে, খিদেও পাবে দেরিতে। প্রতিদিন কম করে ২৫-৩৮ গ্রাম ফাইবার খাওয়া দরকার।