৩০ পার হলেই মানুন এই নিয়মগুলি, নইলে সমূহ বিপদ
কলকাতা টাইমস :
জীবনের ধর্ম মেনে প্রতিদিন আমরা একটু একটু করে বুড়িয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়ছে আমাদের শরীরও। কমছে কাজ করার বা শ্রম প্রদানের ক্ষমতাও। আসলে ২৫ বছরের পর থেকেই আমাদের সারা শরীরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য কোষগুলির কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। আর ৩৫ তা যেন চরমে ওঠে। এমনটা হলে শরীরে তার ছাপ পড়তে শুরু করে, ত্বক তার সৌন্দর্য হারায়। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে নানা রকমের জটিল রোগ ধীরে ধীরে আমাদের ঘিরে ধরে। তাই তো বেশিদিন সুস্থ ও সুন্দর থাকতে বয়স ৩০ পেরুলেই কতগুলি নিয়ম মেনে চলা উচিত। কী সেই সব নিয়ম? চলুন জেনে নেওয়া যাক :
১. কফি খাওয়া বাদ দিন
আর নয়ত দেহের প্রাণকোষগুলোর ডিজেনারেশন প্রসেস বেড়ে গিয়ে বয়সও বড়বে লাগামহীন ভাবে। তাই বেশিদিন সুস্থ থাকতে হলে আজ থেকেই কফি পানের মাত্রা কমানোটা জরুরি।
২. প্রতিদিনি কলা খান
বয়স ৩০ পেরুলেই মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা থাকাটা আবশ্যক। কারণ এই সময় যদি শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর এমনটা হলে শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে একের পর এক রোগ। তাই তো সুস্থ-সবল থাকতে কলাকে আজ থেকেই বন্ধু বানান। দেখবেন অনেক দিন পর্যন্ত সচল থাকতে পারবেন।
৩. বেশি বেশি সবুজ শাক-সবজি খান
সবুজ শাক-সবজি খান বেশি করে। বিশেষত পালং শাক যত বেশি পারবেন, তত বেশি করে খান। কারণ এই শাকটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট, যা ব্লাড কাউন্ট বাড়িয়ে দিয়ে শরীরকে সবদিক থেকে চাঙা রাখে।
৪. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান
৩০ বছরের পর থেকেই হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- দুধ, দই প্রভৃতি খেতে হবে বেশি পরিমাণে।
৫. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
প্রতিদিন একটা করে সাইট্রাস ফল খাওয়া জরুরি। এই ধরনের ফলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন- সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে নানাবিধ রোগকে দূরে রাখতে সাহায়তা করে।
৬. সময়মতো খাবার খান
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার সময়ে করতে হবে। কোনও সময় খালি পেটে থাকা চলবে না। কারণ এমনটা করলে হজম ক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৭. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। কারণ এই উপাদানটি মস্তিষ্কের কোষগুলোর কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮. মদপান কমিয়ে দিন
৩০ এর পর থেকে মদপান একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। কারণ এই সময় শরীরে ইনফ্লেমেটরি রেসপন্স খুব বেশি থাকে। আর অ্যালকোহল শরীরের ভেতরে ইনফ্লেমেশনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর ভাঙতে শুরু করে।