এই ৭ এর ঘাটতিতে মৃত্যু অবধারিত !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
শরীরকে সচল রাখতে বিশেষ কিছু উপাদানের প্রয়োজন পরে। সেগুলি ছাড়া আমাদের পক্ষে বেঁচে থাকাই সম্ভব নয়। কিন্তু ভয়ের বিষয় কি জানেন, বেশিরভাগ মানুষেরই এ সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই। তাই তো আজকাল নানাবিধ রোগের প্রকোপ এত বৃদ্ধি পেয়েছে। পুষ্টিকর উপাদান এবং খনিজ ছাড়া শরীরের পক্ষে কর্মচঞ্চল থাকাটা একেবারেই সম্ভব নয়। তাই তো আমাদের রোজের ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। কারণ খাবারের মাধ্যমেই এইসব প্রয়োজনীয় খনিজ এবং বাকি উপাদানেরা শরীরে প্রবেশ করে থাকে।
এখন প্রশ্ন হল, শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে কী কী উপাদানের প্রয়োজন পরে?
১. পটাশিয়াম: এনার্জির যোগান ঠিক রাখতে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কলা প্রথম পছন্দ হতে পারে। কারণ এই ফলটি যেমন সহজলভ্য, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়া বাদামেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। প্রসঙ্গত, মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশনের প্রকোপ কমাতে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দারুন কাজে লাগে। তাই যখনই দেখবেন মন ভাল যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও বাড়ছে তখন বেশি করে কলা বা বাদাম খাওয়া শুরু করবেন। দেখবেন ভাল ফল পাবেন।
২. ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, ত্বককে সুন্দর এবং নরম রাখতেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, মাছ, ডিম এবং অ্যাভোকাড ফলে এই উপাদানটি প্রচুর মাত্রায় থাকে।
৩. ভিটামিন সি: সার্বিকভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে ভিটামিন-সি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এই উপাদানটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে নানাবিধ রোগকে দূর রাখে। সাধারণত সাইট্রাস ফলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে।
৪. ভিটামিন ডি : শরীরে ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি দেখা দিলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। টুনা মাছ, চিজ, দুধ প্রভৃতি খেলে শরীরে ভিটামিন-ডি-এর ঘাটতি দূর হয়। প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে সূর্যালোক ভিটামিন-ডি-এর খুব ভাল উৎস। তাই গায়ে সীমিত পরিমাণে রোদ গায়ে লাগালে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৫. আয়রন: শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রণ না থাকলে অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ক্লান্তি বোধও খুব বেড়ে যায়। কীভাবে শরীরে আয়রনের যোগান ঠিক রাখা সম্ভব? প্রতিদিন পালং শাক এবং বিনস খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই আর আয়রণের ঘাটতি জনিত সমস্য়ায় ভুগতে হবে না।
৬. ক্যালসিয়াম: দাঁত এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ক্যালসিয়ামের যোগান ঠিক থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। আর কীভাবে করবেন এই কাজটি? প্রতিদিন দুগ্ধজাত খাবার এবং ডিম খাওয়া শুরু করুন। তাইলেই দেখবেন এই খনিজটির ঘাটতি সম্পর্কে আর ভাবতে হচ্ছে না।
৭. দই: আমাদের হজম ক্ষমতাকে ঠিক রাখতে স্টামাকে উপস্থিত ভাল ব্যাকটেরিয়ারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই সব ব্যাকটেরিয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন দই খাওয়া জরুরি।