November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

বাড়িতেই তৈরী করুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মহাঔষধি তৈরির পদ্ধতি

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদির মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকেই। এর সঙ্গে তো রয়েইছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। যার ফলে জ্বর হলেই ভয় পেয়ে অনেকে ভাবছেন করোনা দ্বারা সংক্রমণ হয়েছেন কিনা। এই আতঙ্ক মানুষকে আরও দুর্বল করে তুলছে। তাই সাধারণ ফ্লু হোক বা করোনা, সমস্ত রকম অসুখ থেকে বাঁচতে এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল ও গবেষকেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাদের ক্ষেত্রে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়ে উঠছে। যাদের কম, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। তাই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইসিএমআর এর স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও পথ খোলা নেই, কারণ এখনও অধরা কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক ও ঔষধ।
ভারতে এইমুহূর্তে আয়ুষ মন্ত্রকের দেওয়া উপায়গুলির (আয়ুর্বেদিক, যোগা, ইউনানি, সিদ্ধা এবং হোমিওপ্যাথি ) উপরই বেশি ভরসা করা হচ্ছে উপর। সম্প্রতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আয়ুষ মন্ত্রক একটি ওষুধের কথা উল্লেখ করেছে, তার নাম হল ‘কাবাসুরা কুদিনীর’ (Kabasura Kudineer)। এটি শরীরকে যেকোনও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে খুবই কার্যকরী, বিশেষত শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ফ্লু, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদিতে। এই ওষুধটি দোকানে কিনতে পাওয়ার পাশাপাশি আপনি বাড়িতেও তৈরী করতে পারেন। দেখে নিন কীভাবে তৈরি করবেন এবং এর খাওয়ার পদ্ধতি।
উপকরণ 
আদা (Chukku), পিপুল (pippali), লবঙ্গ (Lavangam), দুস্পর্শা (cirukancori ver), Akarakarabha, ককিলাক্ষ (mulli ver), হরিতকী (kadukkaithol), মালাবার বাদাম (adathodai elai), আজ্বাইন (Karpooravalli), কুস্তা (kostam), গুডুচি (seenthil thandu), ভারাঙ্গী (Siruthekku), কালমেঘ (siruthekku), রাজা পাতা (Vattathiruppi), মুস্তা (korai kizhangu), জল।
তৈরির পদ্ধতি 
১) শুকনো করে সবগুলোকে একসঙ্গে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন।
২) গুঁড়োতে জলের ভাব দূর করার জন্য সূর্যের আলোতে শুকিয়ে নিন। ৩) এবার শুকনো গুঁড়োতে হাফ লিটার জল মিশিয়ে ফুটাতে থাকুন। যতক্ষণ না পর্যন্ত জল মিশ্রিত গুঁড়াটি ফুটে গিয়ে ১০০ মিলিলিটারে পরিণত হয়।
৪) এবার মসলিন কাপড় ব্যবহার করে ফোটানো উপকরণটি ছেঁকে নিন।
৫) পরিস্রুত তরলটি সংরক্ষণ করে কিছুক্ষণ পর থেকে ব্যবহার করুন।
১) দিনে একবার করে খাওয়ার আগে এটি খেতে হবে। সপ্তাহে তিনদিন পান করুন। যদি আপনি সর্দি-কাশি বা ফ্লুতে ভুগছেন তবে রোজ পান করতে পারেন।
২) প্রাপ্তবয়স্করা খাবেন ৬০ থেকে ৯০ মিলিলিটার।
৩) ১২ বছরের বেশি বয়সের শিশুরা খাবেন ৩০ থেকে ৪৫ মিলিলিটার।
৪) ৫ থেকে ১০ বছরের শিশুরা খাবেন ১০ মিলিলিটার।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পান করুন
১) যারা দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন – ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পান করুন।
২) টাইফয়েড, ডায়রিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিরা, গর্ভবতী মহিলা এবং ১ থেকে ৫ বছরের বাচ্চাদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ান। নিজে থেকে খাওয়ালেন না।

Related Posts

Leave a Reply