রাশি অনুযায়ী জানুন প্রেগন্যান্সির সময়, না হলে কিন্তু…!
কলকাতা টাইমস :
অ্যাস্ট্রোলজি অনুসারে আপনার রাশি নির্ধারিত হয়ে থাকে জন্মকালে সূর্যের এবং বাকি গ্রহের অবস্থান কী ছিল, তা বিশ্লেষণ করার মধ্যে দিয়ে। যেমন ধরুন আপনি যদি কন্যারাশির হয়ে থাকেন, তার অর্থ হল জন্মের সময় বিশেষ কোনও নক্ষত্র, সূর্যের ঠিক পিছনে, কোনও এক বিশেষ স্থানে ছিল। আর সেখানে ছিল বলেই আপনি কন্যারাশির জাতক হিসেবে পরিচিত হয়েছেন এবং সেই মতো আপনার চরিত্রও প্রভাবিত হয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রেগন্যান্সিকে “মমস্ট্রোলজি” বলা হয়ে থাকে। আর এই বিশেষ বিদ্যাটি অনুসারে যে রাশির যখন প্রেগন্যান্ট হওয়া উচিত সেই সময়টা হল…
১. মেষরাশি: বিশেষজ্ঞদের মতে এই রাশির জাতক-জাতিকারা তিনটি সময়ে মা হওয়ার প্ল্যানিং করতে পারেন। এক, জুন ২৫-জুলাই ১৫, দুই, অক্টোবর ২৫-নভেম্বর ১৫, নয়তো তিন নম্বর সময়টি হল ফেব্রয়ারি ২৫-মার্চ ১৫। আসলে এই তিনটি সময়ের মধ্যে কোনও একটা সময়ে প্রেগন্যান্সি প্ল্যানিং করলে বাচ্চার চরিত্রের সঙ্গে আপনার চরিত্র যেমন মিলে যাবে, তেমনি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও কোনও চিন্তা থাকবে না।
২. বৃষরাশি: আপনার বাচ্চার আর্থ সাইন যদি টরাস, ভার্গো অথবা কেপ্রিকর্ন হয়, তাহলে আপনার চরিত্রের সঙ্গে তার যেমন মিল থাকবে, তেমনি আপনার বাচ্চা বেজায় সংস্কৃতিবান হবে। শুধু তাই নয়, পরিবারের সঙ্গে থাকতেও পছন্দ করবে, ঠিক যেমনটা আপনি পছন্দ করে থাকেন। তাই মা হওয়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে কিন্তু! আর এই কারণে আপনার মা হওয়ার সঠিক সময় হল জুলাই ২৫-আগষ্ট ১৫, নভেম্বর ২৫- ডিসেম্বর ১৫, নয়তো মার্চ ২৫- এপ্রিল ১৫
৩. মিথুনরাশি: এদের জন্য মা হওয়ার সবথেকে আদর্শ সময় হল আগষ্ট ২৫- সেপ্টেম্বর ১৫, ডিসেম্বর ২৫-জানুয়ারি ১৫ অথবা এপ্রিল ২৫-মে ১৫। আসলে এই সময় মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে প্রসবকালে এবং পরবর্তি সময়ে আপনার বাচ্চার কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
৪. কর্কটরাশি: বিশেষজ্ঞদের মতে এরা যদি জুলাই ২৫-আগষ্ট ১৫, নভেম্বর ২৫-ডিসেম্বর ১৫ অথবা মার্চ ২৫- এপ্রিল ১৫ এর মধ্যে কোনও সময়প্রেগন্যান্সি প্ল্যানিং করেন, তাহলে কিন্তু দারুন ফল মিলতে পারে। তাই ডেটগুলি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!
৫. সিংহরাশি: এরা নিজের মতো করে বাচ্চাকে তৈরি করতে চান। অর্থাৎ নিজেকে নিয়ে এরা যেমন সারাক্ষণ গর্বিত থাকেন, তেমনি চান বাচ্চাও যেন ঠিক এমনটাই হয়। তাই তো বলি বন্ধু আপনারা খেয়াল করে জুন ২৫-জুলাই ১৫, নয়তো অক্টোবর ২৫-নভেম্বর ১৫ এর মধ্যে মা হওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত।
৬. কন্যারাশি: আপনি কি চান আপনার বাচ্চা একেবারে আপনার কার্বোন কপি হোক, সেই সঙ্গে শরীর-স্বাস্থ্যও হোক বেজায় হাট্টা-কাট্টা, তাহলে সেপ্টেম্বর ২৫-অক্টোবর ১৫, জানুয়ারি ২৫-ফেব্রয়ারি ১৫, নয়তো মে ২৫- জুন ১৫-এর মধ্যে প্রেগন্যান্সি প্ল্যানিং করতে ভুলবেন না যেন!
৭. তুলারাশি: প্রসবের সময় কোনও খারাপ কিছু ঘটুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে কতগুলি ডেট মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন! যেমন ধরুন সেপ্টেম্বর ২৫- অক্টোবর ১৫, জানুয়ারি ২৫- ফেব্রয়ারি ১৫ অথবা মে ২৫-জুন ১৫। এই টাইম ফ্রেমের মধ্যে মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে কিন্তু দারুন ফল পেতে পারেন।
৮. বৃশ্চিকরাশি: এদের জন্য না হওয়ার সবথেকে ভাল সময় হল জুন ২৫-জুলাই ১৫, অক্টোবর ২৫-নভেম্বর ১৫ এবং ফেব্রয়ারি ২৫-মার্চ ১৫।
৯. ধনুরাশি: বিশেষজ্ঞদের মতে ধনুরাশির জাতিকাদের আগষ্ট ২৫-সেপ্টেম্বর ১৫, ডিসেম্বর ২৫-জানুয়ারি ১৫ অথবা এপ্রিল ২৫- মে ১৫ এর মধ্যে প্রেগন্যান্সি প্ল্যানিং করতে হবে। কারণ এই সময় তারা যদি মা হওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে বাচ্চার যেমন কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না, তেমনি মায়েরাও নানা দিক থেকে ভাল ফল পাবেন।
১০. মকররাশি: এদের মা হওয়ার সবথেকে আদর্শ সময় হল জুন ২৫-জুলাই ১৫, অক্টোবর ২৫- নভেম্বর ১৫, নয়তো ফেব্রয়ারি ২৫- মার্চ ১৫।
১১. কুম্ভরাশি: সব দিক বিচার করে দেখলে কুম্ভরাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য মা হওয়ার সবথেকে প্রকৃত সময় হল জুলাই ২৫-আগষ্ট ১৫, নয়তো নভেম্বর ২৫-ডিসেম্বর ১৫।
১২. মীনরাশি: কথায় বলে মায়ের মতো যদি চার বাচ্চা হয়, তাহলে আগামী দিনে সেই বাচ্চার বড় হয়ে উঠতে কোনও সমস্যাই হয় না। প্রসঙ্গত, আপনি যদি চান, আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটুক, তাহলে সেপ্টেম্বর ২৫-অক্টোবর ১৫ এবং জানুয়ারি ২৫- ফেব্রয়ারি ১৫ এর মধ্য়ে প্রেগন্যান্সি সম্পর্কিত পরিকল্পনা করতেই হবে।