রান্নাতে নয়, খালি পেটেই খান রসুন
দেখতে ছোট হলেও অনেক গুন আছে রসুনের। এক কোয়াই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। সব থেকে বড় কথা হল, যখন আপনার পেট একদম খালি থাকবে তখন অবশ্যই খেতে পারেন রসুন। খালি পেটে রসুন খাওয়ার গুণগুলি দেখে নিন এক ঝলকে…
১. অ্যান্টিবায়োটিক
সকালে ব্রেকফাস্ট করার আগে খেতে পারেন রসুন। এছাড়া খাবার খাওয়ার পরেও খেতে পারেন। কারণ আপনার শরীর এবং মুখের মধ্যে খাবার খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন এই কোয়া রসুনই অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। যার ফলে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে পারে না।
২. যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধ
যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সক্ষম রসুন। যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় প্রচুর মানুষ। কিন্তু অনেকেই জানেন না শুধুমাত্র রসুন এই রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। প্রতিদিন যদি এক কোয়া রসুন কাঁচা অবস্থায় অথবা ভেজে নিয়ে খাওয়া যায় তাহলে যক্ষ্মা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
৩. ব্রঙ্কাইটিস এবং অ্যাজমা
৪০ গ্রাম রসুন জলে ভিজিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সেটি একটি বোতলের মধ্যে রাখতে হবে। যদি আপনি ব্রঙ্কাইটিস এবং অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে গরম জলের মধ্যে ওই রসুন সিদ্ধ জল ২০ ফোঁটা দিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। শুধু খেতে অসুবিধা হলে এর সঙ্গে মেনথল মিশিয়ে খেতে পারেন। তার জন্য গলাও আরাম পাবে।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েতেও খুবই উপকারি রসুন। ফুটন্ত গরম জলের মধ্যে বেশ কয়েকটি রসুন দিয়ে ভালোভাবে ফোটান। এরপর সেই বাষ্প নাক দিয়ে টানুন। যতক্ষন পর্যন্ত জল ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ টানতে থাকুন। দেখবেন আস্তে আস্তে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
৫. ব্যথা হলে
শরীরের কোথাও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে রসুন। হাতে সামান্য রসুন নিয়ে থেঁত করে ব্যথার জায়গাতে লাগালে ব্যথা কমে যায়। এমনকি দাঁতের ব্যথা কমাতেও সক্ষম এই ছোট সবজি। এছাড়া বিষাক্ত কোনও পোকা কামড়ালে তার জন্যও খুবই উপকারি এই রসুন।
৬. হার্টের জন্য ভালো
হার্টের যে কোনও রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় এই রসুন। শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং এনার্জিও বাড়াতে সক্ষম। কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি রোগ প্রতিরোদেও সক্ষম।
৭. ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম
ক্যানসার রোগ প্রতিরোধেও সক্ষম রসুন। একটি সমীক্ষাতে দেখতে পাওয়া গেছে, রোগ রসুন খাওয়ার ফলে ক্যানসার হতে পারে না। রসুনে বর্তমান সালফাইডস অ্যান্টি ক্যানসার বৈশিষ্ট হিসেবে কাজ করে।