এক-তৃতীয়াংশ মানুষই পান করে ডিটারজেন্ট, ইউরিয়া ও রং, কিভাবে…
কলকাতা টাইমস :
ভেজাল খাবারের দৌরাত্ম্য এখন শুধু ভারতেই ভারতেই সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন্য দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ ভেজাল খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে ভারতের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই পান করতে বাধ্য হয় ভেজাল দুধ।
দুধের বদলে এখন অনেকেই পান করতে বাধ্য হচ্ছে ডিটারজেন্ট, কস্টিক সোডা, ইউরিয়া ও রঙের মিশ্রণ। সম্প্রতি দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ইউনিয়ন মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এ বিষয়টি লোকসভায় তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ৬৮ শতাংশ ব্যক্তি দুধ হিসেবে যা পান করেন তা আইন অনুযায়ী মানসম্মত দুধ নয়। এ বিষয়ে তিনি ২০১১ সালের একটি জরিপের তথ্য তুলে ধরেন।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ উৎপাদনকারী দেশ। এখানে দুধ শুধু পানই করা হয় না, এটি ধর্মীয় নানা কাজেও ব্যবহৃত হয়। দুধ প্রোটিনের উৎস হিসেবেও অসংখ্য মানুষের চাহিদা মেটায়।
গত বছর মার্কিন সরকারের এক রিপোর্টে জানা যায়, ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ২০১৮ সালে সাত শতাংশ দুধের চাহিদা বাড়বে। এক্ষেত্রে ভেজাল দুধ বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দুধে ভেজাল হিসেবে যেসব বিষয় ব্যবহৃত হয় সেগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক ও বহু মারাত্মক রোগের জন্য দায়ী বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে দুধের এ ভেজাল রোধ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। তারা ভেজাল নির্ণয়ের জন্য উন্নতমানের মেশিন সংগ্রহ করছেন। এ ছাড়া বাজারে যাওয়ার আগে ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় দুধে এ ভেজাল যোগ হচ্ছে তা নির্ণয়ের জন্য আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।