প্রথম বিয়ের ব্যর্থতাই বিবাহবিচ্ছিন্না বান্ধবীর সঙ্গে সুখের সংসারের মূলমন্ত্র অরিজিতের
কলকাতা টাইমস :
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই প্রচারের অন্ত’রালে থাকতেই পছন্দ করেন গায়ক অরিজিৎ সিং। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাকে তার জীবনের প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বারেবারেই অতি সন্ত’র্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে জানেন কি, অরিজিতের ‘লাভ স্টোরি’ও সিনেমার থেকে কম রোমাঞ্চকর নয়।
তারও জীবনে প্রেম এসেছে, প্রেম ভেঙেছে। হয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদও। অরিজিতের লাভ লাইফের সেই রোলারকোস্টার রাইড দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে। ১৯৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে জন্ম নেন অরিজিৎ। বাবা পঞ্জাবি মা বাঙালি। ছোট থেকেই সঙ্গীতের প্রতি অসম্ভব টান ছিল তার। পণ্ডিত রাজেন্দ্রপ্রসাদ হাজারির কাছেই তার প্রথম সঙ্গীতের পাঠ।
২০০৫ সালে ‘ফেম গুরুকুল’ নামে এক রিয়ালিটি শো’র মধ্যে দিয়েই মুম্বাইয়ে পা রাখেন অরিজিৎ। কিন্তু সেই শো-তে বিজয়ী হতে পারেননি তিনি। লাইমলাইটেও যে চলে এসেছিলেন এমনটাও নয়। অরিজিতের ভাগ্য বদলায় আরও বেশ কিছু বছর পর ২০১০-১১ নাগাদ। সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সহযোগী হিসেবে কাজ করা অরিজিৎ ক্র’মশ পরিচিতি পেতে থাকেন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও।
আজ তিনি সুপরিচিত। যে মানুষের গানে এত দরদ, গলায় এত আবেগ তার প্রেম কাহিনিতেও এসেছে নানা টুইস্ট। নিজে মুখ না খুললেও শোনা যায়, প্রীতমের সঙ্গে মিউজিক প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করার সময়েই ‘ফেম গুরুকুল’-এর এক প্রতিযোগী রুপরেখাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি। অচিরেই তাদের সেই সম্পর্ক ভে’ঙে পড়ে।
সাল ২০১৪। অরিজিতের কেরিয়ারে এবং ব্যক্তিগত জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ এক বছর। ‘গুন্ডে’, ‘টু স্টেটস’ -এর মতো সুপারহিট ছবিতে গান গেয়ে অরিজিৎ তখন সুপারহিট। ওই বছরেই আবার বিয়ে করেন অরিজিৎ। পাত্রী কোয়েল রায়। কে এই কোয়েল? তার সঙ্গে অরিজিতের বিয়েই বা হয়েছিল কী করে?
অরিজিৎ এক সাক্ষাৎকারে নিজেই একবার জানিয়েছিলেন কোয়েল তার ছোটবেলার বন্ধু। তারা একই স্কুলে পড়তেন। শোনা যায়, কোয়েলই নাকি অরিজিতের ‘লাভ অব লাইফ’। বিভিন্ন সূত্র থেকে এও জানা যায়, কোয়েল বিবাহবি’চ্ছিন্না। তার প্রথম পক্ষের এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু কোয়েলের প্রথম বিয়ে সুখের হয়নি। সুখের হয়নি অরিজিতের প্রথম বিয়েও।
অবশেষে অনেক বা’ধা, অনেক প্রতিকূ’লতা পেরিয়ে ২০১৪ সালে এক হন ছোটবেলার দুই বন্ধু। অরিজিৎই প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রথমে। কোয়েল রাজি হয়ে যান। সিটিলাইট ছবির ‘মুসকুরানে’ গানটিতে সর্বপ্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অন ক্যামেরা দেখা যায় অরিজিৎকে। বাঙালি মতে বিয়ে করেন দু’জনে। কিন্তু গ্ল্যামারের আলো, চাকচিক্য কোনওদিনই টানেনি স্বামী-স্ত্রীকে।
অরিজিৎ নিজেই বলেছেন, পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্সে বেজায় অরুচি তার স্ত্রীর। ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি, সেলফি তোলার ভিড় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন কোয়েল। অরিজিৎ এবং দুই সন্তান নিয়ে অন্তরালেই থেকে যেতে চান এই বাঙালি মেয়ে।