November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

আপনাদের বিয়ে কি ২,৫৫৫ দিনের সন্ধিক্ষণে? টিকিয়ে রাখবেন যেভাবে

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস 

মি কখনোই নিখুঁত হওয়ার প্রত্যাশ করি না। আমি রূপকথায় বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি আমি এবং আমার স্বামী জীবন নিয়ে ভালোভাবেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা দৈনন্দিন জীবন-যাপন, কর্ম, বাচ্চা লালন-পালন কুকুর-বিবাদ-বিতণ্ডার মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে এরপরই কিছু বিষয় প্রকাশিত হতে থাকে।

এপ্রিলের এক শনিবারে আমার স্বামী আমার কাছে আসেন । আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি জানো আজকের দিনটি কীসের?’ আমি শূন্য ভাবে তাকালাম। এটি আমাদের বিবাহবার্ষিকী, তিনি রুক্ষভাবে বললেন। আমি স্মৃতি হাতড়ে বুঝতে পারলাম তিনি ঠিক বলেছেন।

আমরা খুব কমই জাঁকজমক করে আমাদের বিয়ে বার্ষিকী উদযাপন করেছি। তবে আগের বছরগুলোতে আমি সে ব্যাপারে অন্তত হুঁশিয়ার ছিলাম। ‘তুমি কী জান ডি এবং বি তাদের বিয়ে বার্ষিকী উদযাপনের জন্য কী করেছে? তারা সে দিন ভ্যানিস ভ্রমণে গিয়েছে এবং হইহুল্লোড় করে কাটিয়েছে।

এরপর তিনি আমাকে একটি খাম এগিয়ে দিলেন এবং বললেন, ‘সুখী সাত বছর…’। আর এখানেই সমস্যাটি। আমরা বিবাহিত জীবনের সন্ধিক্ষণে পড়ে গেছি। একঘেয়ে পূর্বানুমানযোগ্যতা নিয়ে আমরা সপ্তম বছরের সন্ধিক্ষণে পড়ে গেছি। এ সময়টাতে এসে সম্পর্কের সন্তুষ্টি কমে যায়। সাধারণত টানা ২,৫৫৫ দিন রোমান্টিক সুখের পর এমনটা ঘটে।

আমরা বিয়ে করি ২০১১ সালে। আমার স্বামী তার স্বপ্নের চাকরিটি পান ২০১২ সালে। ডেনমার্কে লেগো কম্পানিতে তার চাকরি হয়। এর আগে লন্ডনে আমরা একসঙ্গে কাটাই এক দশক। ওই সময়টাতে আমরা জীবন সংগ্রামে পর্যুদস্ত ছিলাম।

পরিবার শুরু করার জন্য আমরা সন্তান জন্মদানের সক্ষমতার জন্য চিকিৎসা করাই। পাশাপাশি আমরা চরম মানসিক চাপপূর্ণ কর্মজীবন সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই।

২০১৩ সালের শুরুতে আমরা ডেনমার্কে চলে যাই। আমি আমার চকচকে ম্যাগাজিনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করি। তবে আমরা স্থানীয় জানতাম না, কাউকে চিনতাম না। আমার স্বামী প্রতিদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কাজে চলে যেতেন।

আমি বুঝতে শুরু করলাম নিজের চাকরি ছেড়ে আমি সবচেয়ে বড় ভুলটি করে ফেলেছি। আমার স্বামীও চাপ অনুভব করতে থাকেন। ২০১৪ সালে আমি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেই। এরপর শুরু হয় সংসারের সত্যিকার যাতাকলের চাপ।

এর কিছু দিনের মধ্যে আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এবং আমাদের দাম্পত্য সম্পর্ককে কীভাবে আরো উন্নত করা যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু করি।

গবেষণা করে আমি যে বিষয়গুলি পাই সেগুলো হলো : ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, প্রত্যাশা এবং অনুমানগুলো শনাক্ত করা এবং স্বীকার করে নেওয়া; নেতিবাচক বিশ্বাস এবং আচরণগুলো উদঘাটন করা; নিজেদের ব্যক্তিগত ভিন্নতাগুলো মেনে নেওয়া; সম্মানের ভিত্তিতে নতুন আচরণ শনাক্ত এবং চর্চা করা, সহমর্মিতা ও সহনশীলতা, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি ‘আবেগগত চুক্তিতে’ সম্মত হওয়া।

এখানেই জীবন সঙ্গী ও সঙ্গিনীরা নিজেদের পরস্পরিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করেন। অন্য কথায়, আমাদেরকে পরস্পরের প্রতি সুন্দর আচরণ করা শিখতে হবে। দাম্পত্য সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে এগুলো জীবনের যেকোনো সময়ই বেশ কাজে লাগবে।

Related Posts

Leave a Reply