রোজ সর্ষে তেলে রান্না, মারাত্মক ক্ষতির জন্য তৈরী থাকুন
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বাঙালীর বেশিরভাগ রান্নাতেই সর্ষের তেলের ব্যবহার হয়ে থাকে। এর বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে আপনি হয়তো জানেন না, সর্ষের তেলের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রভাবও ফেলতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, সর্ষের তেলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
১) Erucic Acid
বর্তমান বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সর্ষের তেলে প্রচুর পরিমাণে Erucic Acid বর্তমান। অত্যধিক পরিমাণে Erucic Acid থাকায় সর্ষে তেল আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মাত্রায় সর্ষের তেলের গ্রহণ করলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, রক্তাল্পতা এবং ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া গুরুতর আকার ধারণ করলে, রোগীর মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।
২) হার্টের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে সর্ষের তেলে থাকা উচ্চ মাত্রার eructic acid, হার্টের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। হার্টের মাংসপেশীতে ট্রাইগ্লিসারাইড গড়ে ওঠার কারণে ফাইব্রোটিক ক্ষত সৃষ্টি হয়। যা হার্টের পেশীগুলিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কখনও কখনও হার্ট ফেলিওর-এর দিকেও নিয়ে যেতে পারে। বয়সের আগেই চোখে, মুখে বার্ধক্যের ছাপ? ঘরোয়া উপকরণেই টানটান থাকবে ত্বক!
৩) লাং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়
সর্ষের তেলে থাকা eructic acid, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে সাথে, ফুসফুসকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রাথমিক পর্যায়ে, এটি কেবলমাত্র শ্বসনতন্ত্রের উপরের অংশকে প্রভাবিত করে। যার ফলে শ্বাসকষ্ট-সহ, অন্যান্য আরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সর্ষের তেল গ্রহণ করলে, তা লাং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করতে পারে। অগাস্টে ৪ বড় গ্রহের গোচর, প্রচুর ধন লাভ হবে ৫ রাশির, সাফল্য আসবে ক্যারিয়ারে!
৪) জ্বালাভাব সৃষ্টি করে সর্ষের তেলে allyl isothiocyanate নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ বর্তমান। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই সর্ষের তেল গ্রহণের ফলে, অনেক সময়ই ফুসফুসের আস্তরণে, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট এবং অন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
৫) গর্ভাবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে
গর্ভবতী মহিলাদের সর্ষের তেল খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ এতে কিছু রাসায়নিক যৌগ বর্তমান, যা মা ও ক্রমবর্ধমান ভ্রূণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং গর্ভপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করতে সক্ষম।