নাক ডাকেন ? তাহলে কিন্তু ভয়ংকর বিপদ! জেনে নিন বাঁচার রাস্তা
নিউজ ডেস্কঃ
সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নাক ডাকার কারণে যে কোনো মুহূর্তে হতে পারে স্ট্রোক, হার্ট ডিজিজ, অ্যারিথমিয়া, ক্রনিক মাথা যন্ত্রণা। এমনকি ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এছাড়া গবেষকরা জানিয়েছেন, নাক ডাকার প্রবণতা থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ফলে আই কিউ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ঝাপসা হতে শুরু করে।
তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই সমস্যা সমাধানের কিছু ঘরোয়া উপায় আছে। চলুন জেনে নিই নাক ডাকা বন্ধের সহজ সেইসব উপায় সম্পর্কে।
১. হলুদ:
অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরের অন্দরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে নাক ডাকার প্রবণতাও। এক্ষেত্রে প্রতিদিন শুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করতে হবে।
২. এলাচ:
অনেক সময় নাকের ভেতরে কোনো বাঁধা থাকার কারণে নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে নিয়মিত ঘুমনোর আগে এলাচ চা খেলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি নাকের ভিতরের বাঁধা সরিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর একবার শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক মতো হতে থাকলে নাক ডাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
৩. ঘি:
নাক ডাকার সমস্যা কমাতে ঘি-এর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অল্প পরিমাণ ঘি গরম করে তার থেকে ২-৩ ড্রপ করে নিয়ে যদি নিয়মিত নাকে দেওয়া যায়, তাহলে নাসিকা গর্জ থামতে একেবারেই সময় লাগে না। আসলে ঘিয়ে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান নাকের ভেতরে বায়ু-চলাচলের পথকে খোলা রাখতে সাহায্য করে। ফলে নাক ডাকার প্রবণতা কমে যায়।
৪. অলিভ অয়েল:
রাত্রে শুতে য়াওয়ার আগে মনে করে দু চামচ অলিভ অয়েল খেলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে রেসপিরেটরি প্যাসেজ খুলতে শুরু করে। আর একবার এমনটা হয়ে গেলে বাতাস চলাচলে কোনো বাঁধার সৃষ্টি হয় না, ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা কমে যায়।
৫. মধু:
রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে যদি এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে নাক ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগই পায় না। কারণ মধুর অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান গলার প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তোলে। ফলে নাক ডাকার সম্ভাবনা কমে।