কিছু সহজ উপায়ে সহজেই বাঁচতে পারেন ছানি থেকে
কলকাতা টাইমস :
আমাদের জন্য চোখের গুরুত্ব আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। এই চোখের আলো নিয়ে যারা পৃথিবীর রূপ দেখছি, তারা অনুভব করতে পারি না, দৃষ্টিহীন মানুষের কষ্ট। চোখের নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে ছানি পড়া একটি। জানেন কি, অনিয়মতান্ত্রিক জীবনধারার জন্যই মূলত চোখে ছানি দেখা যায়। আর ৪০ বছরের পর চোখের যত্নে অবশ্যই খেয়াল দিতে হবে। না হলে দেখা দিতে পারে অন্ধত্বের লক্ষণ চোখের ছানি। ছানি পড়ার লক্ষণ
চোখে একদিনেই ছানি পড়ে না। একটু লক্ষ্য করলে ছানি পড়ার লক্ষণগুলো বোঝা যাবে। যেমন পলকে ফেলার সময় মনে হতে পারে কোনো কিছুতে বাধছে, চোখের পাওয়ার ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হচ্ছে বা দেখতে সমস্যা হচ্ছে।
যেভাবে ছানি পড়া রোধ করতে পারি:
খাবার : অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ ফল ও সবজি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। খাদ্য ভিটামিন এ, সি সমৃদ্ধ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে।
সবুজ শাকসবজি, লাল ও হলুদ ফলে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে৷ এছাড়াও গরুর কলিজা, মুরগির কলিজা, মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, দই, ডিম, বড় বড় মাছের তেল, ছোট মাছ, গাজর, পাকা আম, পাকা বেল, পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, কমলা, পাকা টমেটো, কলা, জাম, মিষ্টিকুমড়া, পালংশাক, লালশাক, লাউ, বাঁধাকপি এবং গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে৷
কমলা, লেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’।
এছাড়া কাঁচা মরিচে রয়েছে ভিটামিন সি এবং বেটা-ক্যারোটিন যা চোখ ভালো রাখে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় এমন খাবারের মধ্যে আছে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, হ্যালিবাট, টুনা, সারডিন্যাস, ম্যাকেরেল, হেরিং)। ডিম ও বিভিন্ন প্রকার শাক সবজিও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।
সূর্য থেকে সুরক্ষা : সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর। এতে ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। রোদে বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার রাখুন।
জীবন-যাপন : আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার কিছু অভ্যাস ছানি পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যালকোহল, ধূমপানসহ সব ধরনের মাদক দ্রব্য থেকে বাড়ে ছানি পড়ার ঝুঁকি।
পর্যাপ্ত ঘুম, জল পান এবং বিরতি দিয়ে কম্পিউটারে কাজ করা। সঙ্গে চোখে পরিষ্কার রাখা মাঝে মাঝে চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চোখের ছানি পড়া রোধ করা সম্ভব।