প্রচুর মদ্যপান করেও দীর্ঘজীবী হয়ে উঠছেন স্পেনের বাসিন্দারা! কারণ….
কলকাতা টাইমসঃ
২০৪০ সালের মধ্যে স্পেনের নাগরিকরা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ আয়ুর অধিকারী হয়ে উঠবেন। তেমনটাই মত সেদেশের বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু, অধিক ধুমপান ও মদ্যপানের পরও স্পেনে মৃত্যুর হার কেন কম? এপ্রসঙ্গে ৭টি বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
১. হাঁটার অভ্যাস: জিম কম করলেও সপ্তাহে ৪ দিন স্পেনের ৭৬ শতাংশ মানুষ গড়ে ১০ মিনিটের জন্য হাঁটেন, যা তাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
২. ম্যাডিটেরিয়ান খাদ্য: পরিমিত ও তাজা খাবার। বিশেষ করে তাজা মাছ, শাকসব্জি, ফলমূল, অলিভ অয়েল সহজলভ্য থাকায় নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
৩. দুপুরে ঘুমোনো: স্পেনের ১৮শতাংশ মানুষ দুপুরে ঘুমালেও, স্প্যানিশ ডাক্তাররা পরামর্শ দেন দুপুরে অন্তত ২৬ মিনিট হলেও চোখ বন্ধ রাখা দরকার। স্বাস্থ্যের জন্য যা অত্যন্ত ভালো।
৪. বিরতী নিয়ে কাজ: স্পেনের মানুষ বছরে গড়ে ১ হাজার ৬৮৭ ঘন্টা কাজ করেন, যা জার্মানির থেকে ৩৩১ ঘন্টা, ফ্রান্সের থেকে ১৭৩ ঘন্টা ও সুইজারল্যান্ড থেকে ১১৭ ঘন্টা বেশি। দীর্ঘ সময় কাজ করলেও নিয়মিত ছোট ছোট বিরতী নিয়ে থাকেন স্পেনের মানুষ, যা স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
৫. অধিক যৌন মিলন: যৌন মিলন মস্তিষ্ক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। অধিক ও নিয়মিত যৌন মিলন করে থাকেন স্প্যানিশরা। স্পেনের মহিলারা সপ্তাহে গড়ে ২ দশমিক ১ বার যৌন মিলন করে থাকেন, যেখানে বৃটিশ মহিলারা যৌন মিলন করে থাকনে গড়ে ১ দশমিক ৭ বার।
৬. ভাষার মাধুর্য: ইউনিভার্সিটি অব ভেরমন্ট এর অধ্যাপক পিটার ডড্স বিশ্বে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত ১০টি ভাষা থেকে ১ মিলিয়ন শব্দ নিয়ে গবেষণা করে জানান, স্প্যানিশ ভাষায় সবচেয়ে বেশি ‘পজিটিভ’ শব্দ যেমন ‘ভালোবাসা’, ‘হাসি’ ব্যবহৃত হয়। পজিটিভ কথাবার্তাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৭. রাতে হাল্কা খাবার: স্প্যানিশরা রাতের খাবারকে তাপাস বলেন। এটি আসলে ছোট ছোট খাবারের সমন্বয়। যা স্বাস্থ্যরক্ষায় উপযোগী।