কৃত্রিম নয়, সুস্থ রাখে ‘সানলাইট ল্যাম্প’
করণীয়
অনেকেই বাড়িতে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে। কিন্তু সবাই তো আর এ সুবিধা পায় না। তাই সানলাইট ল্যাম্পই ভরসা। বাজারে ভালোমানের ল্যাম্প পাওয়া যায়। একক বিবেচনায় এসব ল্যাম্প থেকে ১০ হাজার লাক্স আলো মেলে। যে ল্যাম্পের আলোতে অন্তত কয়েক মিটার পর্যন্ত অনায়াসে দেখা যায়, সেটা কেনাই ভালো। রাতে লেখাপড়া কিংবা বিদ্যুৎ চলে গেলে সূর্যের আলো বিলায় এমন উৎস ব্যবহার করা উত্তম। কারণ এর রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগুণ।
ত্বকের ডিস-অর্ডার
চিকিৎসাবিজ্ঞানে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে সানলাইট ল্যাম্প ব্যবহার করা হয়। একজিমা, সোরিয়াসিস, জুনডাইস কিংবা ডার্মাটিটিসের মতো রোগের ওষুধ সূর্যের আলোক থেরাপি। ব্যক্তিভেদে চিকিৎসা পদ্ধতি বদলাতে পারে। গোটা দেহ থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কোনো অংশেও সূর্যের আলো থেরাপি চলতে পারে।
ঘুমের সমস্যা
আলোর সঙ্গে আমাদের বসবাসের ওপর ঘুমের অভ্যাস নির্ভর করে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। সূর্যের আলো বাতি মস্তিষ্কে মেলাটনিনের নিঃসরণ ঘটায়। এই হরমোন ঘুমের গুণগত মান ঠিক করে দেয়। তাই ‘ডিলেইড স্লিপ ডিস-অর্ডার’ সমস্যায় সানলাইট ল্যাম্প ভরসা হয়ে ওঠে। পাশাপাশি অ্যাডভান্সড স্লিপ ফেস ডিস-অর্ডার, জেট ল্যাগ, শিফট-ওয়ার্ক স্লিপ ডিস-অর্ডার এবং ওভার স্লিপিংয়ের মতো সমস্যা দূর হয় সূর্যের সঞ্চিত আলো ব্যবহার করলে।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
এ রোগের জন্যও সূর্যের আলোক থেরাপি দারুণ কাজের। ডায়াবেটিক ম্যাকুলার ওয়েডেমার জন্যই কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত এটি। এ থেরাপি সমস্যা অনেকাংশে কমিয়ে আনে। তবে আরো বিস্তৃত গবেষণা এখনো চলছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য এই ল্যাম্পের আলো বা থেরাপি কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু অনেকের মাথায় ঝিমঝিম ভাব আসে। অবসাদও দেখা দিতে পারে। এগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।