আপনি নিশ্চয়ই অন্ধ হতে চান না?
কলকাতা টাইমস :
দৃষ্টিশক্তিকে চাঙ্গা রাখতে কে না চায়! এক্ষেত্রে প্রথমেই ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। বেশি করে খেতে হবে মাছের মতো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। সেই সঙ্গে যদি কিছু ব্যায়াম করতে পারেন, তাহলে চোখ নিয়ে যে আর কোনও চিন্তা থাকবে না, সে কথা হলফ করে বলা যেতে পারে! যে যে চোখের ব্যায়ামগুলি নিয়মিত করলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না, সেগুলি একবার দেখে নিন।
জুমিং এক্সারসাইজ : এই ব্যায়ামটা যতটা মজার, ততটাই কার্যকরিও বটে। এক্ষেত্রে কারও লিফ্ট চাওয়ার সময় আমরা যেমন হাতের ভঙ্গি করে থাকি, অনেকটা তেমন করতে হবে। অর্থাৎ ডান হাতটা সামনের দিতে সোজা করে বুড়ো আঙুলটা ডান অথবা বাম দিতে একটু হেলিয়ে দিতে হবে। তারপর বুড়ো আঙুলের উপর ফোকাস করতে হবে। এইভাবে কিছুক্ষণ করার পর হাতটা মুখ থেকে ৩ ইঞ্চি দূরে নিয়ে আলতে হবে। কিছু সময় পরে পুনরায় হাতটা সোজা করে নিতে হবে এবং একেবারে শুরুর সময়ে যেমন করেছেন সেই ভাবে ফোকাস করতে হবে। এই পদ্ধতিটি মেনে নিয়মিত এই ব্যায়ামটা করলে দেখবেন দৃষ্টি শক্তি বাড়বে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে নানাবিধ চোখের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কমে।
ঠাণ্ডা-গরম জলে সেক দিতে ভুলবেন না : একটা বাটিতে গরম জল আর আরেকটা বাটিতে ঠাণ্ডা জল নিয়ে নিন। তারপর একটা টাওয়াল গরম জলে ডুবিয়ে কিছু সময় চোখের উপর রাখুন। তারপর জল দিয়ে একই ভাবে চোখে সেক দিন। এমনটা কয়েক মিনিট করলে সারা দিন ধরে কাজ করতে করতে চোখের যে ক্ষতি হয়েছে, তা ঠিক হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কান্তি দূর হবে এবং দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটবে।
বারে বারে চোখ পিটপিট করতেই হবে : কম্পিউটার, মোবাইল বা যে কোনও ডিজিটাল স্ক্রিনে কাজ করার সময় আমাদের চোখের পাতা একেবারেই পরতে চায় না। ফলে চোখের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে। সেই কারণেই তো যারা দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারে কাজে করেন, তাদের কিছু সময় অন্তর অন্তর চোখ পিট পিট করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এমনটা করলে চোখের ক্লান্তি দূর তো হয়ই। সেই সঙ্গে চুলকানি এবং ড্রাই আইয়ের মতো সমস্যাও দূর হয়। এখন প্রশ্ন হল কতবার চোখ পিট পিট করতে হবে? চিকিৎসকেরা বলে থাকেন কম করে ৫ সেকেন্ড যদি এমনটা করা যায় তাহলে চোখের উপকার মেলে।
ফোকাস শিফটিং এক্সারসাইজ করা জরুরি : চোখের পেশির ক্ষমতা বাড়াতে এই ব্যায়ামটি দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে চোখের একেবারে সামনে যে বস্তুটি আছে তার দিকে তাকান। ৫ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার পর তার থেকে একটু দূরে রয়েছে এমন কিছুর দিকে এক দৃষ্টিতে পুনরায় ৫ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এমনটা করতে থাকলে চোখের পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টিশক্তিও বাড়তে শুরু করে।
হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢাকুন : খুব ব্যস্ত নাকি কম্পিউটারে। তাহলে একটু সময় বের করে কয়েক মিনিট হাতের তালুটা চোখের উপর রাখুন! তবে চোখের উপর চাপ দেবেন না যেন! এমনটা কয়েক মিনিট করে রাখলেই দেখবেন মন এবং চোখের স্ট্রেস কমতে থাকবে। সেই সঙ্গে চোখের ক্লান্তিও দূর হবে। আর চাখের ক্লান্তি দূর হলে কোনও ধরনের আই প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
গোল কোল করে ঘোরাতে হবে চোখের মণি : আপনি কি চান বয়স বাড়লেও চোখ তরতাজা থাকুক? তাহলে দিনের মধ্যে কম করে ২ মিনিট খরচ তো করতেই হবে! প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে চোখের মণিকে ঘোরাতে হবে। তবে পুরো ব্যায়ামটা খুব ধীরে ধীরে করবেন। এমনটা প্রতিদিন ২-৩ মিনিট করলেই দখবেন দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মনযোগও বৃদ্ধি পাবে।