November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

গরমে আম না খেলে হয়, কিন্তু পরিণামটাও তো জেনে নিন 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ম্প্রতি একদল আমেরিকান গবেষক আমের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা বাস্তবিকই অবাক করার মতো! আসলে গবেষণাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন নিয়মিত আম খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেক কমে।
প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে যেভাবে হার্টের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই গবেষণাটি যে অনেকটাই আশার আলো দেখাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে ভাববেন না আম শুধুমাত্র হার্টেরই খেয়াল রাখে। আরও বেশ কিছু গবেষণায় বলছে, ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করার পাশাপাশি একাধিক মারণ রোগকে দূরে রাখতেও আমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে! তাই রোগমুক্ত জীবনের স্বপ্ন যদি পূরণ করতে চান, তাহলে এই গরমে নিয়মিত আম খেতে ভুলবেন না যেন! চিকিৎসকদের মতে আমের শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান শরীরের নানা কাজে লেগে থাকে। যেমন ধরুন…
১. ব্রণর প্রকোপ কমায়: বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে ত্বকের পরিচর্যায় এই ফলটিকে কাজে লাগালে ব্রণর সমস্যা তো কমেই, সেই সঙ্গে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। তাই অল্প দিনেই যদি ফর্সা হয়ে উটতে চান তাহলে আম দিয়ে বানানো ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন! এক্ষেত্রে সারা মুখে ভাল করে আম লাগিয়ে মাসাজ করতে হবে। তারপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা।
২. হজম ক্ষমতা বাড়ায়: আমের অন্দরে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম উপস্থিত রয়েছে, যা খাবার হজম যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। তাই তো এই ফলটি খেলে হজমের সমস্যা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহসই পায় না। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের মতে আমের মধ্যে থাকা ফাইবারও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে: যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে আমে উপস্থিত ফাইবার, পেকটিন এবং ভিটামিন সি, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পলন করে থাকে। সেই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৪. শরীরে অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে: আমের মধ্যে থাকা টার্টেরিক, ম্যালিক এবং সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরের অন্দরে “অ্যালকালাইন ব্যালেন্স” ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে শরীরকে সুস্থ রাখতে অ্যাসিডের ভারসাম্য ঠিক রাখাটা কতটা জরুরি।
৫. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়: বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সপ্তাহে ৩-৪ বার আমের রস দিয়ে যদি ভাল করে ত্বকের মাসাজ করা যায়, তাহলে স্কিনের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর হয়, তেমনি ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলিও খুলতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়তে শুরু করে।
৬.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়: আমের অন্দরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং ক্যারোটেনয়েড শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।প্রসঙ্গত, গরম কালে নানাবিধ ক্ষতিকর জীবাণুর প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পায়। এই সময় তাই সুস্থ থাকতে আমের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন!
৭. ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে: ফলের রাজার অন্দরে থাকা কুয়েরসেটিন, আইসোকুয়েরসেটিন,অ্যাস্ট্রাগেলিন ফিসেটিন, গ্য়ালিক অ্যাসিড, মাথাইল গ্যালেট প্রভৃতি উপাদানগুলি কোলোন, ব্রেস্ট, লিউকেমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়: ফলের রাজার অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ, যা শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্তচণিকার উৎপাদন এত মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যে রক্তাল্পতার মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে যে হারে অ্যানিমিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই গরমে আরও বেশি করে আম খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
৯. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়: দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করার জন্য বাড়ছে চোখের পাওয়ার? কোনও চিন্তা নেই! আম খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন দৃষ্টিশক্তি নিয়ে আরও কোনও চিন্তা থাকবে না। আসলে আমে উপস্থিত ভিটামিন এ, এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Related Posts

Leave a Reply